গেইলকে ছাড়িয়ে সবার ওপরে কোহলি
চার বছরের অপেক্ষার পর আইপিএলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন আগের ম্যাচেই। টানা আরও একটি শতরান বিরাট কোহলির। বাঁচা-মরার ম্যাচে সতীর্থদের ব্যর্থতায় দল গুজরাটের কাছে হেরে দল বিদায় নিলেও স্বমহিমায় উজ্জল ভারতীয় এই ব্যাটার। দলের বিপদের মুহূর্তে ত্রাতা হয়ে সেই শতকে অনন্য রেকর্ডও গড়লেন কোহলি। এক সময়ের সতীর্থ ক্রিস গেলকে টপকে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি শতরানের মালিক এখন তিনি।
আরসিবির জন্য সমীকরণ একটাই-জিতলে প্লে অফ আর হারলে বিদায়। এমন সমীকরণে খেলতে নেমে বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে আলো ছড়ান বিরাট কোহলি। দারুণ ব্যাটিংয়ে বেঙ্গালুরুকে ১৯৭ রানের লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন। ১৩ চার ও ১ ছক্কায় তিনি খেলেছেন ৬১ বলে ১০১ রানের ইনিংস।
বিজ্ঞাপন
আইপিএলে এটি তার সপ্তম সেঞ্চুরি। টুর্নামেন্টের প্রায় দেড় যুগের ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি তিন অঙ্কের স্বাদ পাননি আর কেউ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ১০০ রান করে ৬ সেঞ্চুরির রেকর্ডে ক্রিস গেইলের পাশে বসেন তিনি। আইপিএলে ১৪২টি ম্যাচে ৬টি শতরান করেছিলেন ক্যারিবিয়ান বিধ্বংসী ব্যাটার ক্রিস গেইল। কোহলি সেই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন ২৩৭ ম্যাচে। এর আগে আইপিএলে সর্বশেষ শতরান করেছিলেন ২০১৯ সালে। এরপর ষষ্ঠ শতরান করতে সময় নিয়েছিলেন চার বছর।
কিন্তু সপ্তমটা এলো পরের ম্যাচেই। ২০১৬ সালে আইপিএলে রেকর্ড রান (৪টি শতরান এবং ৭টি ফিফটি) করার পরের বছর মাত্র ৩০৮ রান করেছিলেন বিরাট। ২০১৮ সালে ৫৩০ রান করেছিলেন তিনি। পরের বছর করেছিলেন ৪৬৪ রান। ২০২০ সালে আইপিএলে কোহলি করেছিলেন ৪৬৬ রান। ২০২১ সালেকরেছিলেন ৪০৫ রান।
এরপর গেল বছর বিরাটের আইপিএল একেবারেই ভাল যায়নি। মাত্র ৩৪১ রান করেছিলেন তিনি। দু’টি অর্ধশতরান এসেছিল তার ব্যাট থেকে। সেই রানের খরা এবারের আইপিএলে কাটিয়ে উঠেছেন কোহলি।
এর আগে ২০১৬ সালে কোহলি এবং এবিডি ভিলিয়ার্সের তাণ্ডবে আরসিবি লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। পরে ফাইনালেও পৌঁছেছিল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত ৮ রানে ফাইনালে হারতে হয়েছিল তাদের। আর চলতি আসরে আশা জাগিয়েও প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারলেন না কোহলিরা। ওপেনিংয়ে ফাফ এবং বিরাটের দুর্দান্ত সূচনাকে বড় রানে পরিণত করার জন্য এবারে মিডল অর্ডারে ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি ভালোও খেলেছেন। তবে তা যথেষ্ট ছিল না। মিডল অর্ডার আর বোলিং ব্যর্থতায় তীরে এসে তরী ডুবল আরসিবির।