আইপিএলের আগেই বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া সিরিজে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জস বাটলার। ব্যক্তিগতভাবে তিনি ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক হলেও, টাইগারদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার দল পরাজিত হয়। সেই শোচনীয় হারের স্মৃতি নিয়ে ভারতে আইপিএল খেলতে যান বাটলার। গত আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়া এই ইংলিশ ব্যাটার এবার মুদ্রার সম্পূর্ণ উল্টো দিক দেখছেন। টানা তিন ম্যাচে তিনি শূন্য রানে আউট হয়েছেন। একইসঙ্গে ‘গোল্ডেন ডাকে’র রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন বাটলার।

শুক্রবার (১৯ মে) ধর্মশালায় রাজস্থান মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব কিংসের। যেখানে আগে ব্যাট করে ১৮৭ রান করা পাঞ্জাবকে রাজস্থান ৪ উইকেটে হারিয়েছে। যা বাটলারের দলকে প্লে-অফে খেলার দৌড়ে এখনও টিকিয়ে রেখেছে। তবে দলের কিছুটা স্বস্তির মুহূর্তেও শান্তি পাচ্ছেন না ইংল্যান্ড অধিনায়ক। এই ম্যাচ দিয়েই তিনি চলতি আসরে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির গড়েছেন।

রাজস্থানের জয়ের রাতে কাগিসো রাবাদার বলে এলবিডব্লু হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন বাটলার। ৪ বলে ০ রান করে এবারের আইপিএলে পাঁচবার ডাক মারেন তিনি। যা আইপিএলে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারটি করে ডাক মেরেছেন ছয় ক্রিকেটার। যার মধ্যে ২০২১ সালে এই বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছেন দুই ক্রিকেটার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এউইন মরগান ও পাঞ্জাব কিংসের নিকোলাস পুরান চারটি করে ডাক মেরেছেন।

আরও পড়ুন >> আর্চারের ওপর রেগে আগুন, পারিশ্রমিক দিতে মানা গাভাস্কারের!

এবারের আইপিএলে বাটলার এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচের সবকটিতেই খেলেছেন। ২৮ গড় ও ১৩৯.০১ স্ট্রাইক রেটে ৩৯২ রান করেছেন তিনি। পাঁচটি ডাকের পাশাপাশি করেছেন চার ফিফটি। লজ্জার রেকর্ড বাদে তার ব্যাটিং পারফরম্যান্স যে তেমন খারাপ নয়, সেটি তার রান দেখলেই বোঝা যায়। এবারের আসর শুরুর বেশ কিছু সময় তিনি সেরা রানসংগ্রাহকের দৌড়েও ছিলেন। গত বছর আইপিএলে চারটি সেঞ্চুরিসহ ৮৬৩ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরস্কার জিতেছিলেন বাটলার।

বাটলারের ডাকের টেবিলের পঞ্চম স্থানে থাকা রাজস্থানের পয়েন্ট ১৪ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা মুম্বাইকে তারা টপকে গেছে। এখন প্লে-অফের জন্য সেরা চারে ঢুকতে ভাগ্যের সহায়তা লাগবে গতবারের ফাইনালিস্টদের। বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই দুটি দলেরই শেষ ম্যাচে হার চাইবে রাজস্থান। তবে কোহলিদের শুধু হারলেই হবে না, গুজরাটের বিপক্ষে হারতে হবে কমপক্ষে ৬ রানে।

এক মৌসুমে আইপিএলে সর্বোচ্চ ডাক : 

৫ : জস বাটলার (রাজস্থান রয়্যালস) : ২০২৩ 
৪ : হার্শেল গিবস (ডেকান চার্জার্স) : ২০০৯ 
৪ : মিথুন মানহাস (পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া) : ২০১১ 
৪ : মনীষ পান্ডে (পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া) : ২০১২ 
৪ : শিখর ধাওয়ান (দিল্লি ক্যাপিটালস) : ২০২০ 
৪ : এউইন মরগান (কলকাতা নাইট রাইডার্স) : ২০২১ 
৪ : নিকোলাস পুরান (পাঞ্জাব কিংস) : ২০২১

এএইচএস