বিরাট কোহলি মানেই ২২ গজে ধারাবাহিক ব্যাটিং আর রানের ফুলঝুরি। চলমান আইপিএলেও তিনি দুর্দান্ত ব্যাট করে চলেছেন। তবে স্ট্রাইকরেট নিয়ে লাগাতার সমালোচনা শুনতে হয়েছে সাবেক ভারতীয় এই অধিনায়ককে। তবে সেইসব কানে না নিয়ে নিজের তালে খেলে গেছেন এই মাস্টার ব্যাটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন বছর শতরানের দেখা না পাওয়া কোহলি ধীরে ধীরে সব ফরম্যাটেই ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন। কেবল বাকি ছিল আইপিএল, এবার সেটাও পূর্ণ করেছেন তিনি।

গতকাল (১৮ মে) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে আইপিএলের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বিরাট। এর মাধ্যমে তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে ক্রিস গেইলের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন। তবে পঞ্চম সেঞ্চুরির পর বিরাটকে অপেক্ষা করতে হয়েছে চারটি বছর। এদিন ৬৩ বলে ১০০ রান করে তিনি দলকেও দারুণ জয় এনে দেন। যার মাধ্যমে বেঁচে রইলো দলটির প্লে-অফে খেলার আশা।

এরপরই তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে চলমান সমালোচনা নিয়ে কথা বলেছেন কোহলি। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে এই বেঙ্গালুরু তারকা বলেন, ‘অতীত পরিসংখ্যান নিয়ে আমি ভাবি না। আমি ইতোমধ্যে নিজেকে অনেক চাপের মধ্যে ফেলেছি। কখনও কখনও ইমপ্যাক্ট ইনিংস খেলার পরও আমি নিজেকে নিজে যথেষ্ট কৃতিত্ব দিই না। তো সত্যি বলতে, বাইরে থেকে কেউ কিছু বললে আমার কিছু আসে যায় না। কারণ, এটা কেবল তাদের মতামত।’

আরও পড়ুন >> বিধ্বংসী সেঞ্চুরির পর রোমান্টিক কোহলি

পরিস্থিতি অনুসারেই ব্যাট করার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আপনি নিজে যখন নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পড়েন, তখন আপনি বুঝতে পারেন যে কীভাবে ক্রিকেট খেলায় জিততে হয়। আর আমি এটা লম্বা সময় ধরে করে আসছি। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমি যখন খেলি, তখন আমার দলকে ম্যাচ জেতাতে পারি না। দলের চাহিদা অনুসারে খেলা নিয়ে আমি গর্ব করি।’

সেঞ্চুরি করার পথে কোহলি খেলেছেন ১২টি চার ও ৪টি ছক্কা। এই ম্যাচের আগে আইপিএলে কোহলির সবশেষ সেঞ্চুরিটি ছিল ২০১৯ সালের এপ্রিলে, ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৫৮ বলে করেছিলেন ১০০ রান। ষষ্ঠ সেঞ্চুরির দিন তার দল হায়দরাবাদের দেওয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৮ উইকেটে বড় জয় পায়।

এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটার। ১৩ ম্যাচে ১৩৫.৮৫ গড়ে কোহলির সংগ্রহ ৫৩৮ রান। চলতি আইপিএলে অন্তত ৩০০ রান করা খেলোয়াড়দের মধ্যে কোহলির স্ট্রাইক রেট তৃতীয় সর্বনিম্ন। তার নিচে আছেন কেবল চেন্নাই সুপার কিংসের ডেভন কনওয়ে (১৩৪.৫৯) ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ডেভিড ওয়ার্নার (১২৮.৭৪)। এর পেছনে আরেকটা কারণও থাকতে পারে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রতি মনোযোগ রেখে খেলছেন জাতীয় দলের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। তার আগে কোহলির সেঞ্চুরি নিশ্চয়ই ভারতের জন্যই স্বস্তির কারণ।

এএইচএস