ফাইল ছবি

চলতি আইপিএলে আলো ছড়ানো বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে মনে ধরেছে রবি শাস্ত্রীর। সংস্করণ ভিন্ন হলেও তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে ঘরের মাঠের আসছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ দলেও দেখছেন তিনি। ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ও কোচের চোখে ইয়াশাভি  জয়সাওয়াল, তিলক ভার্মা ও রিংকু সিং এগিয়ে আছেন সবার চেয়ে।

এই তিন ক্রিকেটারের একজনও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পাননি। তবে এবারের আইপিএলে তাদের যে পারফরম্যান্স, সেটা ধরে রাখতে পারলে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখছেন শাস্ত্রী।

এখন পর্যন্ত চলতি আসরে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১৩ ম্যাচ খেলেছেন জয়সাওয়াল। উপহার দিয়েছেন দারুণ কিছু ইনিংস। গড়েছেন আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড, ১৩ বলে। এক সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটিতে বাঁহাতি এই ওপেনারের রান ৫৭৫, স্ট্রাইক রেট ১৬৬.১৮। 

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মিডল অর্ডার ও ফিনিশিংয়ের দায়িত্বে দারুণ করে যাচ্ছেন তিলক। দলের সব ম্যাচে খেলতে অবশ্য পারেননি তিনি। ৯ ম্যাচে ১৫৮.৩৮ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৭৪ রান। পঞ্চাশের দেখা পেয়েছেন একবার।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এবার ধারাবাহিকভাবে রান করে যাচ্ছেন রিংকু। এখন পর্যন্ত দলটির সব ম্যাচই খেলেছেন তিনি। ১৩ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে করেছেন ৪০৭ রান। স্ট্রাইক রেট ১৪৩.৩০, গড় আরও ভালো ৫০.৮৭।

এবারের আইপিএলে রিংকু সবার মনে জায়গা করে নিয়েছেন ইনিংসের শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরে কলকাতাকে জিতিয়ে। শিরোপাধারী গুজরাট টাইটান্সের বোলার ইয়াশ দয়ালের ওপর এই তাণ্ডব চালিয়ে স্মরণীয় এক ম্যাচের জন্ম দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

আইসিসি রিভিউয়ে শাস্ত্রী বলেন, ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ফর্ম ধরে রাখতে পারলে দলে জায়গা হয়ে যেতে পারে তিলক, জয়সাওয়াল, রিংকুর। তিনি বলেন, 'আমি তিলক ভার্মা, জয়সাওয়াল, রিংকু সিংকে রাখতাম। রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের সঙ্গে তারাও (বিশ্বকাপ) দলে আসতে পারে। গায়কোয়াড় অনেকদিন ধরেই দলের সঙ্গে আছে।'

'দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ছেলেরা দাবি জানাতেই পারে, তা নির্ভর করছে বিশ্বকাপের কাছাকাছি সময়ে তাদের ফর্মের ওপর, আর চোটের পর। গুরুত্বপূর্ণ কোনো খেলোয়াড় যদি চোটে পড়ে, তাহলে এই ছেলেরা সরাসরি দলে চলে আসতে পারে।'-আরও যোগ করেন তিনি। 

এইচজেএস