সাংবাদিকদের কাছে বিশ্বকাপের একাদশ চাইলেন পাপন
ওয়ানডে বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। অনলাইন-অফলাইনের সর্বত্র এখন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল নিয়ে চলছে আলোচনা। যেখানে আলোচনার বেশিরভাগজুড়ে টাইগার একাদশের সাত নম্বর পজিশন। এক পজিশনেই রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির রাব্বি ও আফিফ হোসেনের মতো ক্রিকেটাররা। যার রেশ ধরেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যেখানে একপর্যায়ে সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে তিনি বিশ্বকাপ দলের একাদশ চেয়ে বসেন!
আজ (১৮ মে) মিরপুর শের-ই বাংলার মাঠে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি প্রধান। এ সময় তিনি বলেন, ‘এখন ক্রিকেট নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হচ্ছে মিডিয়া। যদিও আমরা এটাতে খুশি। আপনারা এত বেশি সম্পৃক্ত, যা আমাদেরও সাহায্য করে। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়েও আমরা খুশি। কিন্তু ওখানে অনেকে মনে হয়েছে ক্রিকেট নিয়ে কোন ধারণাই নেই, কিন্তু মন্তব্য করেই যাচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন >> বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল কেমন হবে, জানালেন পাপন
এ সময় উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে পাপন বিশ্বকাপের একাদশ চেয়ে বলেন, ‘আপনারা যারা আছেন তারা ক্রিকেট সম্পর্কে প্রত্যেকেই আমার চেয়ে বেশি জানেন, এমন বহু লোক এখানে আছেন। আমি চিন্তা করছি আপনাদের কাছে নাম চাইবো যে সেরা একাদশ তৈরি করে দেন। তারপর দেখি আপনারা কী বলেন। এটা হলে ভালো হয় না? জানতে তো পারলাম। আপনারা কি মনে করেন, কাকে খেলানো উচিত?’
বিশ্বকাপ দলে কারা থাকবেন সেটার একটা ধারণা দিয়ে পাপন বলেন, ‘আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন কারা থাকবে দলে, তাহলে বলব তামিম, লিটন, শান্ত, হৃদয়, মুশফিক, সাকিব। এই ছয়জনের মধ্যে কাউকে তো আপনারা বাদ দিবেন বলে মনে হয় না। ওপেনিংয়ে নাঈম শেখ ও বিজয় তারাও ভালো পারফর্ম করছে, তারাও আসতে পারে। তবে কে আসবে আমি জানি না। আমার ধারণা ওপেনিংয়ে তারা (বাড়তি) একজনকে নেবে। ইনজুরির জন্য ব্যাকআপ লাগবে।’
পাপন আরও বলেন, ‘আমার ধারণা তিনজন পেসার একাদশে থাকবে, এটা নিশ্চিত। সাকিব যদি থাকে, তার বাইরে একজন স্পিনার খেলবে। পাঁচটা বোলার ছাড়া তো বিশ্বকাপে খেলবেন না। হাসান আছে, তাসকিন, শরিফুল, ইবাদত ও মুস্তাফিজ আছে। যে কেউ খেলতে পারে। চারজন পেসারও খেলাতে পারে। যদি তিনজন স্পিনার নিয়ে খেলে তার মানে ছয়জন বোলার নিয়ে খেলাতে চায়। তাহলে বাড়তি স্পিনার লাগবে, সেখানে আছে মেহেদী হাসান মিরাজ। আমার মনে হয় না কেউ বলবে মিরাজকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া উচিত।’
এসএইচ/এএইচএস