ছবি: সংগৃহীত

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরের শুরুর দিকে বেশিরভাগ ম্যাচেই বেঞ্চে বসে কাটিয়েছেন জো রুট। জস বাটলার, শিমরন হেটমায়াররা নিয়মিত সুযোগ পেলেও একাদশে যেন জায়গাই হচ্ছিল না রুটের। তার বদলে রাজস্থান রয়্যালস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়েছে অ্যাডাম জাম্পা ও জেসন হোল্ডারদেরও।

 

 

তিন ম্যাচ ধরে একাদশে থাকলেও রুট ব্যাটিংয়েরই সুযোগ পাননি দুই ম্যাচে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে রাজস্থানের ২৩ রানে হারের ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১০ রান। এই হারের ফলে তাদের প্লে অফ নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা চলে গেছে ৬ নম্বরে।

সামনেই অ্যাশেজ সিরিজ। এর আগে টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক টি-টোয়েন্টি খেলে রুট কতটা উপকৃত হচ্ছেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ফর্ম আর অভিজ্ঞতা বিবেচনায় টেস্টে ইংল্যান্ডের অন্যতম ভরসার নাম রুট। এই সময়ে কাউন্টিতে খেললেও তার জন্য অনেক উপকার হতো বলে মনে করেন অনেকে। তবে রুটের পরিকল্পনায় রয়েছে বিশ্বকাপ। এ কারণেই কাউন্টি খেলার চেয়ে আইপিএলে থাকাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তিনি। 

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপকালে রুট বলেছেন, ‘(কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ইয়র্কশায়ারের) সূচির দিকে তাকান—একটা ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে, একটা বৃষ্টিবিঘ্নিত হয়ে ড্র হয়েছে। এটা কি সত্যিই আমাকে অ্যাশেজ সিরিজের জন্য প্রস্তুত করবে? নাকি বিশ্বকাপের ছয় মাস আগে ভারতে এমন অভিজ্ঞতা অর্জন, তা–ও এমন কন্ডিশনে, সব খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলা, মূলত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে যতটা পারি শেখার চেষ্টা করা, আর সব মিলিয়ে এই খেলা নিয়েই বেশ ভালো আলোচনা করা—এগুলো আমাকে ভালো খেলোয়াড় বানাবে আরও? আমার তো তাই মনে হয়।’

রাজস্থান রয়্যালসের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট ও প্রধান কোচের দায়িত্বে আছেন লঙ্কান কিংবদন্তি কুমারা সাঙ্গাকারা। তার সঙ্গেও নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে পারছেন রুট। সব মিলিয়ে নিজের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলেই আনন্দিত হবেন তিনি।

রুট বলেন, ‘আর আমার মনে হয়, আমি প্রস্তুত হয়েই ফিরব। টেস্ট ক্রিকেটে ঝাঁপ দিতে রোমাঞ্চিত থাকব, অ্যাশেজ ক্রিকেটের দারুণ এক মৌসুম হতে যাচ্ছে। এমনি এমনি এমন করেছি, তা কিন্তু নয়। আমার মনে হয়েছে এতে বাড়তি কিছু পাওয়ার আছে। আর এ অভিজ্ঞতা যদি ঠিকঠাক কাজে লাগাই, তাহলে আমি সত্যিই ভালো একটা অবস্থানে ফিরতে পারব, যেখানে আমার জ্ঞান আরও বেশি থাকবে।’

এইচজেএস