ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে যত রেকর্ড আছে তার সিংহভাগই তামিম ইকবালের দখলে। দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনারতো বটেই, তর্কসাপেক্ষে সেরা  ব্যাটারও বলা যায়। তারপরও ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে এসে প্রশ্ন ওঠছে তার পারফরম্যান্স নিয়ে। এই তর্কের পুরোটাই অবশ্য তার সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে। তবে চলমান আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের পরিসংখ্যান বলছে ২০২০-২০২৩ চক্রে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার তামিম। 

আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের এই চক্রে ইতোমধ্যেই নিজেদের ২৪ ম্যাচের সবকটিই খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে সবগুলো ম্যাচেই দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন তামিম। এই সময়ে ২৪ ম্যাচে প্রায় ৩৪ গড়ে ৭৮৩ রান এসেছে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে। যা দলের হয়ে কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আর সব দেশ মিলিয়ে এই চক্রে সেরা ব্যাটারদের তালিকায় তামিমের অবস্থান সাত নম্বরে।

এই সময়ে এক সেঞ্চুরির পাশপাশি ৬ টি হাফ সেঞ্চুরিও এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। হাফ সেঞ্চুরির হিসেবেও বাংলাদেশী ব্যাটারদের মধ্যে সবার আগে আছেন অধিনায়ক।

এই সময়ে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ৭৬ স্ট্রাইকরেটে। দেশের হয়ে সেরা পাঁচ রান সংগ্রাহকের বাকিদের স্ট্রাইকরেটও যে খুব বেশি তা কিন্তু না। সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ৮৪ স্ট্রাইকরেটে। তাছাড়া ৮০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন কেবল সাকিব আল হাসান। সেরা তিন রান সংগ্রাহকের বাকি দুইজন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের স্ট্রাইকরেট ৮০ এর নিচে।

বোলিংয়ের শীর্ষ দশে আছেন বাংলাদেশের দুজন। ৩১ উইকেট নিয়ে সুপার লিগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব আল হাসান। সবদেশ মিলিয়ে ৬ নম্বরে আছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ৯ নম্বরে অবস্থান করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ২৩ ম্যাচে তার দখলে ৩০ উইকেট।

অবশ্য সার্বিক পরিসংখ্যানে তামিম-মুশফিক এবং সাকিব-মিরাজদের অবস্থান বদলাতেও পারে। কারণ সুপার লিগে সব দলের খেলা এখনও শেষ হয়নি। ২৪ ম্যাচ খেলে ১৫ জয়, ৮ হার ও ফলাফল না হওয়া একটি ম্যাচ থেকে ১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে ৩ নম্বরে থেকে সুপার লিগ শেষ করেছে বাংলাদেশ।

এইচজেএস