বিজ্ঞাপনে শচীনের কণ্ঠ-ছবি ব্যবহার, মামলা দায়ের
বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনে ভারতীয় ক্রিকেট তারকাদের হরহামেশাই দেখা মেলে। ক্রিকেট কিংবদন্তী শচীন টেণ্ডুলকারও তার ব্যতিক্রম নন। এবার মেদ ঝরানোর পণ্যের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে দেখা গেছে সাবেক এই ক্রিকেট তারকাকে। কেবল ছবিই নয়, সেখানে তিনি কণ্ঠও দিয়েছেন। তবে প্রতিষ্ঠানটি কোনো অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করেছে শচীনের নাম ও ছবি। এমনকি তাদের ওয়েবসাইটে তার ছবি দিয়ে সাইন করা টি-শার্ট উপহারের অফারও দিয়েছে। নজরে আসার পরই এটি নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছেন শচীন। মামলা দায়ের করেছেন সাইবার পুলিশে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। শচীনের সহকারী রমেশ পারধে এই বিষয়ে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা সাইবার পুলিশের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (এফআইআর) দায়ের করেছেন। ‘প্রতারণা, জালিয়াতি ও সম্মানহানি’র দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির (৪২০, ৪৬৫, ৫০০) ধারায় ইতোমধ্যে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। তাকে ধরতে অভিযান চালানোর কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
— ANI (@ANI) May 13, 2023
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) শচীনের সহকারী পশ্চিম মুম্বাইয়ের সাইবার সেল বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অনলাইনে তিনি সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনের মুখোমুখি হয়েছেন, যেখানে মাস্টার ব্লাস্টারের নাম ব্যবহার করে এক ওষুধ দ্রব্যের প্রমোশন করা হচ্ছিল। এমনকি শচীনের নামেই রয়েছে ওয়েবসাইট- শচীনহেলথ.ইন। সেখানে শচীনের ছবি ব্যবহার করে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছিল তারা।
আরও পড়ুন >> জীবনের মন্থরতম পঞ্চাশ শচীনের
শচীনের সহকারী রমেশ পারধে জানিয়েছেন, ‘বেলি বার্নার তেলের বিজ্ঞাপনে শুধু ছবিই ব্যবহার করা হয়নি, শচীন টেন্ডুলকার রিকমেন্ডেডও লেখা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের লিংকে ক্লিক করার পর শায়লা হেলথ নামে একটি কোম্পানির সাইট চলে আসে। আমি কোম্পানিটির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও খুঁজে দেখি। দ্বিতীয় সাইটটিতেও শচীনের নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, শচীন পণ্যগুলো ব্যবহারের পরামর্শও নাকি দিয়েছেন। একটি বিজ্ঞাপনে আছে, পণ্যটি কিনলে টেন্ডুলকারের সই করা টি-শার্ট উপহার দেওয়া হবে।’
— Sachin Tendulkar (@sachin_rt) May 12, 2023
এ বিষয়ে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রতারকদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে একটি বিবৃতি দিয়েছে শচীন রমেশ টেন্ডুলকার স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট। পরে ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টেন্ডুলকার সেটি শেয়ার করেন।
মহারাষ্ট্র পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাইবার) বালসিং রাজপুত কোম্পানিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বলেন, ‘এই পণ্যগুলোর সঙ্গে শচীন কোনোভাবেই জড়িত নন। কোম্পানিটি শুধু শচীনের সুনামেরই অপব্যবহার করছে না, গ্রাহকদের সঙ্গেও প্রতারণা করছে।’
এএইচএস