আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে দারুণ জয় এনে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া তার ইনিংসটি ১১৭ রানে থামে। এ সময় অন্য প্রান্তে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন তরুণ ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়কে। দু’জন মিলেই টাইগারদের জয়ের ভিত গড়ে দেন। তাদের জুটিতে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ১৩১ রান। এরপরই বিপিএলে দুজনের জুটি গড়ার অভিজ্ঞতার কথা টেনে আনেন শান্ত। উভয়েই বড় জুটি গড়ার উপায় জানেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ৩২০ রানের টার্গেট প্রথমে খেই হারানো বাংলাদেশের জন্য অসম্ভবই মনে হয়েছিল। তবে ১০১ রানে তিন উইকেট হারানো টাইগারদের দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান শান্ত-হৃদয় জুটি। শান্ত’র সেঞ্চুরির পর হৃদয় করেন ৬৮ রান। ম্যাচ শেষে দুজনের এমন জুটি উপভোগ করার কথা জানিয়েছেন শান্ত। এই সময় তিনি উদাহরণ হিসেবে সর্বশেষ বিপিএলকে টেনে আনেন। কেননা, ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরটিতে এই দুই ক্রিকেটার খেলেছিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে।

শান্ত বলছিলেন, ‘ও (হৃদয়) যেভাবে ইন্টেন্ট নিয়ে ব্যাট করে, সেটা দলের জন্য ভালো। প্রতিপক্ষকেও চাপে ফেলা যায়। ম্যাচের পরিস্থিতি যেমনই হোক, উইকেট তিনটা কিংবা চারটা পড়ুক, সেটা ওর প্রক্রিয়ার বাইরে যায় না। আমার মনে হয় ওর এভাবেই খেলা উচিত। ওর সঙ্গে জুটিটা উপভোগ করছি। বিপিএলে বেশ কয়েকটা বড় জুটি ছিল আমাদের। আমরা দুজনই বুঝি ব্যাটিংটা কীভাবে করতে চাই, ইনিংস বা জুটিটা কীভাবে বড় করতে চাই।’

সেঞ্চুরির আনন্দের সঙ্গে দলকে জিতিয়ে মাঠ না ছাড়তে পারার আক্ষেপও আছে শান্তর মনে, ‘আনন্দ তো অবশ্যই আছে। আলহামদুলিল্লাহ (ওয়ানডেতে) প্রথম একশ। তার সঙ্গে আক্ষেপও আছে। ম্যাচ শেষ করে আসতে পারলে আরও বেশি খুশি হতাম।’

এসএইচ/এএইচএস