ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবারের আসরের শেষ দিন আগামীকাল (১৩ মে) রোজ শনিবার। আর চলমান এই টুর্নামেন্টে শিরোপার দৌড়ে যৌথভাবে এগিয়ে আছে আসরের তারকাবহুল দুটি দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এবং অন্যটি আবাহনী লিমিটেড। দুই দলের জন্যই এই ম্যাচকে বলা যায় অলিখিত ফাইনাল। কেননা শেষ ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি দিচ্ছে দুই দলের জন্যই।

শনিবার সকাল নয়টায় মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে। আসরে এখন পর্যন্ত সমান ১৫ টি করে ম্যাচ খেলে ২৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে এই দুই দলই। ম্যাচ শুরুর আগের দিন অবশ্য আজ (শুক্রবার) শেরে-ই বাংলার মাঠে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন দুই দলের অধিনায়কই। শুরুতে আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন অনুপ্রেরণা খুঁজছেন গেল ডিপিএলের ম্যাচ থেকে।

যেমনটা বলছিলেন মোসাদ্দেক, ‘আমি যখন থেকে আবাহনীতে খেলছি, আমি এটা দেখে আসছি যে শেখ জামালের সঙ্গে আমাদের এমন হয়েছে যে, ওরা একটা জিতছে, আমরা একটা জিতছি। এটাকে আমি লাকি চার্ম হিসেবে দেখতে পারি যে যেহেতু আমরা গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচ হেরেছি। এটা আমাদের একটা অনুপ্রেরণা যে এর আগের বছর থেকে, ওদের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচটা আমরা বেশিরভাগ সময় জিতেছি। অবশ্য দল হিসেবে আমরা খুব ভালো খেলছি। আমার দলের প্রতি ওই বিশ্বাসটা আছে যে সবাই যে নিবেদন ও সমর্থনটা এতদিন দিয়ে আসছে, আশা করি সেটা দেবে।’

শেখ জামালে খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী তবে তারা এখন না থাকায় বাড়তি সুবিধা দেখছেন মোসাদ্দেক, ‘দেখেন শেখ জামালের যে খেলোয়াড়রা দলের সঙ্গে নেই, তারা ছাড়াও শেখ জামাল একটা ছাড়া সবগুলো ম্যাচ জিতেছে। অবশ্যই বাড়তি সুবিধা যদি বলেন, তাদের মূল দুই-তিনটা খেলোয়াড় নেই, সুবিধা তো আছেই। এখন দল হিসেবে দুইটা দলই ভালো, আমি আশা করছি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা ম্যাচ হবে।’

আজ কথা বলেছেন শেখ জামাল অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও। সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শিরোপায় লক্ষ্য তাদের, ‘আমরা যখন টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলাম, আমরা চাচ্ছিলাম ম্যাচ বাই ম্যাচ যেতে। কিন্তু আমাদের মাথায় এটাই ছিল যে আমরা যদি দল হিসেবে খেলতে পারি এবং যেহেতু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন; অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবো। ওটাই আসলে ফোকাস ছিল। আমার কাছে মনে হয় যে যারা আমরা একসঙ্গে খেলছি, অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছি। ব্যক্তিগত চিন্তা না করে দলের চিন্তা করেছি। যেটা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’

এছাড়া আবাহনীর সঙ্গে ম্যাচ নিয়ে সোহান বলেন, ‘চাপ আসলে নেওয়ার কিছু নাই। আমরা যে প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করে এসেছি, এটাই অনুসরণ করার চেষ্টা করবো। যে যেখানে যেভাবে পারফর্ম করার চিন্তা করছে, যেটা বললাম ব্যক্তির চিন্তা না করে দলের চিন্তা করা। আপনি যদি পুরো টুর্নামেন্ট দেখেন, কারো একার জন্য কিন্তু দল এখানে আসেনি। সবারই কিছু না কিছু অবদান আছে। যার যেদিন লাগছে, অবদান রাখছে। ওই জিনিসটাই শেষ ম্যাচে করার চেষ্টা করবো।’

এসএইচ/এফআই