বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডের টস নির্ধারিত সময়ে (স্থানীয় সময় সোয়া ৩টা) হওয়ার কথা থাকলেও, বৃষ্টির কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি থামার কোনো সম্ভাবনা দেখা যায়নি। উল্টো ধারাভাষ্যকার অ্যালান উইলকিন্সের মতে, এভাবে আরও দুই ঘণ্টার মতো হতে পারে বৃষ্টি। ফলে বাংলাদেশ-আয়ার‌ল্যান্ড উভয় দলেরই অপেক্ষার ক্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ আগ থেকে কমছে বৃষ্টি, সরে যাচ্ছে মেঘও!

এদিকে, উইলকিন্সের সুরে কথা বলছে ওয়েদার ডট কমও। তাদের ভাষ্যমতে, বৃষ্টি থাকবে আরও ঘণ্টা দুয়েক। টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পার্থক্য নেই। এর আগে মাঠের পিচ কভারে ঢাকা থাকলেও, অবিরাম বৃষ্টির কারণে কভারের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। ঢেকে দেওয়া হয়েছে ক্রিজের বাইরে ত্রিশ গজের প্রায় পুরোটা অংশ।

তবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা নাগাদ কমে এসেছে বৃষ্টির পরিমাণ। আকাশে কালো মেঘ থাকলেও, সেটি তীব্র বাতাসের সঙ্গে সরে যেতে শুরু করেছে। গ্রাউন্ডসম্যানদের মাঠে দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে একাধিক কাভার সরানো হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

এর আগে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ শুরুর আগেও ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের আবহাওয়া ছিল রোদ ঝলমলে। এরপর ক্রিকেটাররা মাঠে পৌঁছে অনুশীলনেও অংশ নেন। তখন বৃষ্টি না থাকলেও, আকাশ ছিল কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন। এরপর ঝিরঝির করে টসের আগমুহূর্তে বৃষ্টি নামে। যদিও পরে আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শন করেন। তবে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা না থাকায় তারা আবারও ফিরে যান।

টসের বিলম্ব হওয়ার পর অ্যালান উইলকিন্স বলছিলেন, চেমসফোর্ডে আগের দিনের মতো তোপ না থাকলেও দুই-এক ঘণ্টা হালকা বৃষ্টি হবে। দ্বিতীয় ওয়ানডে একেবারে ভেসে যাওয়ার শঙ্কা না থাকলেও, তাই নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হচ্ছে না।

এএইচএস