চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতের মাটিতে বসছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত সূচি এখনো প্রকাশ করেনি আয়োজক ভারত ও আইসিসি। তবে ক্রিকবাজের খবর বলছে, আগামী ৫ অক্টোবর টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে সর্বশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। এছাড়া ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ১৫ অক্টোবর সেই আহমেদাবাদেই

আগে থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, পাক-ভারত মহারণের জন্য আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামকেই বেছে নিতে চায় ভারতীয় বোর্ড। কেননা, লাখের বেশি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ওই মাঠে সংস্থাটি এই ম্যাচের অধিক মুনাফা তুলতে চায়। এছাড়া দিনক্ষণও নির্ধারণ করা হচ্ছে রোববার। ভারতের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। 

তবে এখানে আপত্তি আছে পাকিস্তানের। এমনিতেই এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যেতে রাজি না হওয়ায় ভারতের মাটিতে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপেও অংশগ্রহণ না করার হুমকি দিয়ে আসছে পিসিবি। তার ওপর ভেন্যু হিসেবে আহমেদাবাদকেও নিরাপদ ভাবছে না তারা। 

ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি বলেন, যখন শুনলাম পাকিস্তানের ম্যাচ আহমেদাবাদে হতে পারে, আমি হাসলাম এবং নিজেকেই বললাম, ভারতে না যাওয়ার একটা কারণ হতে পারে এটা। তার পরিবর্তে যদি চেন্নাই বা কলকাতার কথা বলা হতো সেটিও একটা কথা ছিল। 

পিসিবি প্রধান বলেন, ‘আমি এর রাজনীতিতে যেতে চাই না। তবে অবশ্যই এর একটি রাজনৈতিক কোণ আছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ যদি ভারতে এমন একটি শহর থাকে, যেখানে আমাদের নিরাপত্তার সমস্যা থাকতে পারে, তা হল আহমদাবাদ। আপনি জানেন, কে আহমদাবাদ শাসন করে’।

এশিয়া কাপের জন্য একটি নতুন হাইব্রিড ফরম্যাট আয়োজনের মাধ্যমে ভারতের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব জানিয়েছিল পিসিবি। কিন্তু এসিসি তাতে রাজি হচ্ছে না। নাজাম শেঠি মনে করেন, এর প্রভাব পড়বে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং পাকিস্তানে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।

নাজাম শেঠি পরিষ্কার জানিয়েছেন, এশিয়া কাপের অন্তত চারটি ম্যাচ পাকিস্তানে আয়োজন করতে দিতে হবে। এর মধ্যে একটি পাকিস্তানের ম্যাচ, দুটি বাংলাদেশের ম্যাচ এবং একটি শ্রীলঙ্কার ম্যাচ আছে। তার এই অনুরোধ রাখা না হলে পাকিস্তান এশিয়া কাপ থেকে নাম তুলে নিতে পারে। এমনকি ভারত বিশ্বকাপে তারা দল নাও পাঠাতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন পিসিবি প্রধান।

এফআই