ছবি: সংগৃহীত

ক্যারিয়ারের শুরুটা করেছিলেন ইতিহাস গড়ে। নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। তবে এরপর সাদা বলে আর ধারাবাহিক হতে পারেননি তাইজুল ইসলাম।  দীর্ঘ দিন তাকে মূলত টেস্ট বোলার হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে। কিছুটা দেরিতে হলেও এখন সাদা বলের ক্রিকেটেও নিয়মিত হচ্ছেন তাইজুল। লাল বলের সঙ্গে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের পার্থক্যটাও ধরতে পারছেন বাঁহাতি স্পিনার।

চেমসফোর্ডে বৃহস্পতিবার দলের অনুশীলনের পর বিসিবির পাঠানো ভিডিওবার্তায় টেস্ট ও ওয়ানডেতে নিজের প্রস্তুতির ধরণ নিয়ে জানান তাইজুল। 

'লাল বল ও সাদা বলের আলাদা প্রস্তুতি বলতে হয়তো সাদা বলে বৈচিত্রের পরিমাণটা বাড়িয়ে দিতে হয়। আমি সাধারণত প্রক্রিয়াটা একইরকম রাখি। টেস্ট ক্রিকেটে হয়তো ২-১টা বৈচিত্রে হয়ে যায়। তবে এখানে হয়তোবা ৬টা বল ৬ ধরনের করা লাগতে পারে। এই জিনিসগুলো আর কী ঠিকভাবে করা। এখানে কোচ আছেন রঙ্গনা হেরাথ বা সাকিব (আল হাসান) ভাই আছেন... তাদের সঙ্গে আমি কথা বলি কোন কন্ডিশনে কোন জিনিসটা করলে ভালো হবে।'

ইংল্যান্ডের কন্ডিশন বরাবরই পেসারদের জন্য বাড়তি সুবিধা দেয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাংলাদেশের ৯ উইকেটের ৮টিই নেন পেসাররা। পরে আইরিশদের ইনিংসে শুরুতেই আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। তাই বলে এখানে যে স্পিনারদের কিছুই করার নেই, তা মানতে নারাজ তাইজুল। 

'সাধারণত ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে সবারই ধারণা আছে, পেস বোলাররা ভালো করে। এটা সত্য যে, এরকম কন্ডিশনে পেসাররা ভালো করে থাকে। তারপরও উইকেটের একটা আচরণ থাকে। এই উইকেটে স্পিনাররা যে ভালো করতে পারবে না, এমন কিছু নয়। ভালো লাইন-লেংথ বজায় রেখে যদি ভালো কিছু করা যায় অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব।'

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে স্পিনাররাও অনেক সাহায্য পাচ্ছে বলে জানালেন ৩১ বছর বয়সী স্পিনার। 

'এটা একটা ইতিবাচক দিক যে, আমাদের পেসাররা এখন অনেক ভালো করছে। যখন আমাদের পেসাররা পাওয়ার প্লের মধ্যে ২-৩টা উইকেট নিয়ে নেয়, তখন স্পিনারদের জন্য কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। তখন আমরা ওই সময়ে এসে ভালো আত্মবিশ্বাসে বোলিং করার সুযোগটা পাই।'

এইচজেএস