চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে এশিয়া কাপ। এবারের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। কিন্তু তাদের মাটিতে ভারতের অংশ নিতে না চাওয়ায় তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছে। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি মন্তব্যের পর এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়েই তৈরি হয়েছে শঙ্কা। পিসিবি চেয়েছিল ভারতের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে রেখে বাকি ম্যাচগুলো নিজেদের মাঠে আয়োজন করতে। তবে মন ভ্রমণ সূচিতে রাজি নয় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।  

বাংলাদেশ রাজি নয় কারণ সে সময় দুবাইয়ে থাকবে অসহনীয় গরম। যা খেলোয়াড়দের ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জিং। বর্তমানে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেখানের আয়ার‌ল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে টাইগাররা। ইংল্যান্ড থেকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

এশিয়া কাপের ভেন্যুর ব্যাপারে জালাল বলেন, ‘৫০ ওভারের ম্যাচ আমরা দুবাইতে খেলতে চাচ্ছিলাম না কারণ অনেক গরম সেখানে। এটাই আর কিছু না। আমরা ভেন্যু নিয়ে কিছু বলিনি। আমাদের সামনে বিশ্বকাপ আছে। আমাদের ক্রিকেটারদের চোটের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেই আমরা চাচ্ছিলাম না যে ৫০ ওভারের ম্যাচ দুবাইতে খেলতে। ৫০ ওভারের ম্যাচ আমরা সেখানে খেলতে চাচ্ছি না। যদি ২০ ওভারের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হত সেটা ঠিক ছিল। ৫০ ওভারের ম্যাচ আমরা খেলতে চাচ্ছি না সেখানে, সেটা আমরা জানিয়ে দিয়েছি আগেই।’

বিসিবির শীর্ষ এই কর্তা জানালেন এশিয়া কাপের সিদ্ধান্ত এখন এসিসির ওপর। একই সঙ্গে তিনি বিশ্বাস করেন এশিয়া কাপ হবে, 'এশিয়া কাপ হবে, নিশ্চয় হবে। কোনো একটা জায়গায় কম্প্রোমাইজ আসতে হবে। ওই কম্প্রোমাইজ সিসুয়েশনটা তাদের মধ্যে কোথায় চলছে এখনো আলাপ আলোচনা চলছে। মূলত তাদের মধ্যে ভেন্যু নিয়ে আলোচনা চলছে। ফাইনালি কোথায় করবে এটা তো এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের চাওয়া ছিল আমরা গরমে খেলতে চাই না, এটা বাদ দিলে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। এখন কোথায় কি খেলা হয় কিভাবে খেলা হয় সেটা এসিসি সিদ্ধান্ত নেবে।'

এদিকে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সেক্রেটারি মোহন ডি সিলভা দুবাইয়ে না খেলা নিয়ে ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘আমরা এসিসিকে লিখিত দিয়েছি যে এই হাইব্রিড মডেলের বিপক্ষে আমরা। কিন্তু এর বাইরে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বছরের ওই সময়টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রচন্ড গরম।’

এসএইচ/এফআই