বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের মধ্যকার প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব এখন টক অব দ্য টাউন। গত সোমবার (১ মে) রাতে লখনৌর সঙ্গে বেঙ্গালুরুর ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় গম্ভীর–কোহলির। সতীর্থরা এসে না সরালে এই কথা–কাটাকাটি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যেতে পারতো। এমন আচরণের দায়ে দু’জনকেই ম্যাচ ফির শতভাগ জরিমানা করা হয়। 

কোহলির জরিমানার অর্থমূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ১.০৭ কোটি রুপি। অপরদিকে গম্ভীর যেহেতু কোচিং স্টাফে আছে, তার জরিমানা শতভাগ হলেও পরিমাণ কোহলির চার ভাগের প্রায় এক ভাগ। গম্ভীরের জরিমানার অর্থমূল্য আসে ২৫ লাখ রুপি।

অবশ্য জরিমানার এক পয়সাও দিতে হচ্ছে না কোহলিকে। যার নেপথ্যে আইপিএলের একটি নিয়ম। সাধারণত কোনো ক্রিকেটারকে জরিমানা করা হলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার নিজের পকেট থেকে টাকা দেন না। তার হয়ে টাকা দিয়ে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজি। পুরো মৌসুম শেষে এ জরিমানা দেয়া হয়। এর মধ্যে মন্থর ওভার রেট বা অন্য কোনো শাস্তির জেরে হওয়া জরিমানাও অন্তর্ভুক্ত থাকে। সেভাবেই কোহলিকে করা জরিমানার অর্থও তার ফ্র্যাঞ্চাইজিই দেবে। একই জিনিস দেখা যেতে পারে গম্ভীর এবং জরিমানা হওয়া আরও এক ক্রিকেটার নবীন উল হকের ক্ষেত্রেও। তাদের টাকা দেবে লখনৌ সুপার জায়ান্টস।

তবে এখানে একটা ‘কিন্তু’ আছে। সব কিছু নির্ভর করছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ক্রিকেটারদের ওপর। জরিমানা হওয়া ক্রিকেটারদের বেতন থেকে ওই টাকা কেটে নেবে কি না, সেটা একান্তই তাদের ব্যাপার।

এফআই