লাগাতার ম্যাচ চলছে ভারতীয় ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ আইপিএলে। লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে দারুণ বোলিং নৈপুণ্যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হারানোর খবর এখন বেশ পুরনো। সেই ফলাফলের চেয়েও আলোচিত বিষয় দলের প্রধান তারকা বিরাট কোহলির সঙ্গে গৌতম গম্ভীরের দ্বন্দ্ব। সম্ভবত আগামী অনেকদিন এ নিয়েই উত্তপ্ত থাকবে দেশটির ক্রীড়াঙ্গন থেকে সর্বত্র। দুজনের বিবাদ নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক ভারতীয় স্পিনার হারভজন সিং। তার মতে, এই যুদ্ধ ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়।

গতকাল (সোমবার) রাতে লখনৌর সঙ্গে বেঙ্গালুরুর ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় গম্ভীর–কোহলির। সতীর্থরা এসে না সরালে এই কথা–কাটাকাটি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যেতে পারতো। মাঠে বিবাদের পর সাজঘরে ফিরেও মেজাজ চড়া ছিল কোহলির। সেখানে গম্ভীরের নাম উল্লেখ না করেই আক্রমণ করেন তিনি। বুঝিয়ে দেন যে, সহজে ছাড়বার পাত্র অন্তত তিনি নন। 

আরও পড়ুন >> এক দশক আগে যেভাবে শুরু কোহলি-গম্ভীর দ্বন্দ্ব!

যদিও ম্যাচ শেষে দুজনকেই শাস্তি দিয়েছে বিসিসিআই। কোহলি-গম্ভীরের পুরো ম্যাচ ফি’ই জরিমানা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর বিভিন্ন মহলেই তীব্র সমালোচনা চলছে। ক্রিকেট ভক্তদেরও কেউ গম্ভীর, কেউবা কোহলির পক্ষে সরব। এর আগে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন ভারতীয় স্পিনার হারভজন সিং। তিনি পেসার এস শ্রীশান্তকে মাঠের মধ্যেই চড় মেরেছিলেন। যার জন্য এখন নিজেও অনুতপ্ত তিনি। কোহলি-গম্ভীরের বিষয়ে কথা বলতে গিয়েও সাবেক এই স্পিনার নিজের সেই আচরণের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।

শ্রীশান্তকে চড় মারার ঘটনায় দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিলেন হারভজন। এখন তার ভাষ্য, তিনি তখন যা করেছিলেন, তার জন্য অনুশোচনা করেছেন। তাই তিনি চান না কোহলি আর গম্ভীর একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হোক।

হারভজন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘এটা এখানেই থামবে না। এটা নিয়ে মানুষ বিতর্ক চালাবেই। কার দোষ-কার নয়, এই নিয়ে চর্চা চলবে। ২০০৮ সালে আমার এবং শ্রীশান্তকেও একই রকম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। এখন ১৫ বছর পর এখনও এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে লজ্জা পাই আমি। সেই সময়ে আমার মনে হয়েছিল, যা ঘটেছে ঠিক হয়েছে, আমিই ঠিক ছিলাম। কিন্তু এখন ভাবি, আমি যা করেছিলাম, সেটা ভুল করেছিলাম।’

আরও পড়ুন >> ড্রেসিংরুমে গম্ভীরকে উদ্দেশ্য করে যা বললেন কোহলি (ভিডিও)

ঘটনার কয়েক বছর পর, হারভজন এবং শ্রীশান্ত দু’জনেই ভারতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিল। এরপর তারা ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যও ছিলেন। মজার বিষয় হল, সেই বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন গম্ভীর এবং কোহলিও।

হারভজন বলছেন, ‘বিরাট কোহলি একজন কিংবদন্তি। তার এমন কিছুতে জড়িয়ে পড়া উচিত হয়নি। তবে সে আবেগপ্রবণ। সে কারণেই খেলতে নেমে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সকলে এখন ঝাঁপিয়ে পড়ে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন, ভুলটা কার- কোহলির, গম্ভীরের নাকি নবীনের? কিন্তু এই ঘটনাটা ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়। কোহলি, গম্ভীর দু’জনেই বড় খেলোয়াড়। দুজনেই আমার ছোট ভাইয়ের মতো। তাই বলছি, এই ঝামেলা করে কোনো লাভ নেই।’

এএইচএস