আইপিএল ইতিহাসে এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই খুব কমই দেখা গেছে। টুর্নামেন্টের প্রায় মাঝপথে এসেও কোনো দল ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়। ধারাবাহিক ব্যর্থতায় প্লে-অফের আশা কার্যত শেষ পয়েন্ট টেবিলের তলানির দুই দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদদিল্লি ক্যাপিটালসের। রেসে এখনো টিকে আছে বাকি ৮টি দল। 

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স এবারো ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। পয়েন্ট টেবিলে এই মুহূর্তে শীর্ষে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ৮ ম্যাচের মধ্যে ৬টি জিতে ১২ পয়েন্ট রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দখলে। বাকি ৬ ম্যাচের মধ্যে ২টি জিতলেই প্লে-অফের দরজা খুলে যাবে গুজরাটের। 

গুজরাটের পর সমান ১০ পয়েন্ট রয়েছে বাকি পাঁচ দলের। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় তালিকায় দুইয়ে রাজস্থান রয়্যালস। সর্বশেষ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরে গেলেও প্লে-অফের দৌড়ে ভালোমতোই রয়েছে সাঞ্জু স্যামসনরা। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। 

আরও পড়ুন : আইপিএলের নিলামে টানাটানি চললেও এক ম্যাচেও সুযোগ পাননি যারা

এদিকে, সর্বশেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হেরে গেলেও লখনৌ সুপার জায়ান্টস সেরা তিনে জায়গা ধরে রেখেছে। ৮ ম্যাচ খেলে ৫টি জিতেছেন কে এল রাহুলরা। তাদের পয়েন্ট ১০। লখনৌয়ের নেট রান রেট +০.৮৪১।

অন্যদিকে, নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে শেষ বলের থ্রিলারে পাঞ্জাব কিংসের কাছে হেরে গেলেও পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। ৯ ম্যাচের মধ্যে ৫টি জিতেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। সিএসকের নেট রান রেট +০.৩২৯।

এছাড়া লখনৌকে হারিয়ে একধাপ এগিয়েছে বিরাট কোহলিদের আরসিবি। ৯ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে তারা। তবে পাঞ্জাবের ঝুলিতে ১০ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় টেবিলের ছয়ে শিখর ধাওয়ানরা।

আরও পড়ুন: কোহলির জরিমানা ১ কোটি, গম্ভীরের ২৫ লাখ

গেল আসরের মতো এবারও সময়টা ভালো কাটছে না আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। ৮ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় সাতে তারা। প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে বাকি ম্যাচগুলোতে জিততে হবে রোহিত শর্মাদের। অন্যদিকে, বেশ চাপে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সও। ৯ ম্যাচে মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছে কেকেআর। মাত্র ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় আট নম্বরে রয়েছে কেকেআর। নেট রান রেট -০.১৪৭। প্লে-অফে ওঠার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে বাকি পাঁচ ম্যাচের সবকটিই জিততে হবে নাইটদের।

তালিকার শেষ দুটি দল হল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট) ও দিল্লি ক্যাপিটালস (৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট)।

এফআই