ঘরের মাঠে অম্লমধুর সময় পার করছে পাকিস্তান। অম্লমধুর এই কারণে যে, টি-টোয়েন্টি পরপর দুই ম্যাচ জিতেও তারা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হাতছাড়া করেছে। তবে ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা দাপুটে জয় দিয়েই শুরু করেছে বাবর আজমের দল। এদিন বাবর আরেকটি মাইলফলকে প্রবেশ করেছেন। সব ফরম্যাট মিলিয়ে তার রান এখন ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে অল্পের জন্য তিনি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের ব্যাটার বিরাট কোহলির রেকর্ড ভাঙতে পারেননি।

রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা রেখেছেন ফখর জামান। তার নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পর অর্ধশতক করেছেন ওপেনার ইমামুল হক। এছাড়া অধিনায়ক বাবর আজম আউট হয়েছেন ফিফটি থেকে এক রান দূরত্বে থেকে। ৪২ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

তবে ফিফটি না পেলেও এদিন ১২ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেছেন বাবর। তিন সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে এই মাইলফলকে পৌঁছাতে বাবরের লেগেছে ২৭৭ ইনিংস। এশিয়ান ক্রিকেটারদের মধ্যে যা দ্বিতীয় দ্রুততম। বাবরের চেয়ে এক ইনিংস কম খেলে (২৭৬) এশিয়ান রেকর্ডটা সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক কোহলির। 

সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ হাজার রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার ভিভ রিচার্ডসের। তিনি ২৫৫ ইনিংস খেলে ১২ হাজার রানে পৌঁছেছিলেন। ক্যারিবীয় গ্রেটের পরের তিন অবস্থানে আছেন যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা (২৬৪ ইনিংস), অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ (২৬৯ ইনিংস) ও ইংল্যান্ডের জো রুট (২৭৫ ইনিংস)। এ তালিকায় হালের ক্রিকেটের যে পাঁচজন ব্যাটারকে নিয়ে মাতামাতি, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন বাদে বাকি সবাই আছেন (কোহলি, রুট, স্মিথ ও বাবর) প্রথম দিকে।

আরও পড়ুন >> দল হারলেও রেকর্ড গড়েছেন শাহিন

তিন সংস্করণে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর ৪৭ টেস্টে ৮৫ ইনিংসে করেছেন ৩৬৯৬ রান। ৯৬ ওয়ানডের ৯৪ ইনিংসে করেছেন ৪৮৬২ রান ও ১০৪ টি-টোয়েন্টির ৯৮ ইনিংসে করেছেন ৩৪৮৫ রান। বাবর অবশ্য অন্য দুটি রেকর্ড পুরোপুরি নিজের করে রেখেছেন। এশিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্রুততম সময়ে ১০ হাজার ও ১১ হাজার আন্তর্জাতিক রানের রেকর্ডটা তার দখলে।

১২ হাজারি ক্লাবে প্রবেশের পথে সবমিলিয়ে ২৯টি সেঞ্চুরি করেছেন এই পাকিস্তানি অধিনায়ক। এর মধ্যে টেস্টে ৯টি, ওয়ানডেতে ১৭টি এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে করেছেন ৩টি সেঞ্চুরি।

এএইচএস