ছবি: সংগৃহীত

টপ অর্ডার ব্যাটারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যর্থতায় তা আর হয়নি। মূলত শেষ দিকে দারুণ বোলিংয়ে তা হতে দিলেন না নাসিম শাহ, হারিস রউফরা। এরপর রান তাড়ায়ও দাপট ছিল পাকিস্তানের। ফখর জামানের সেঞ্চুরিতে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের ৫০০ তম জয় নিশ্চিত করে বাবর আজমের দল। 

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় ৫ উইকেটে। ২৮৯ রানের লক্ষ্য স্বাগতিকরা পেরিয়ে যায় ৯ বল হাতে রেখে।

রান তাড়ায় পাকিস্তান জয়ের ভিত পেয়ে যায় উদ্বোধনী জুটিতে। ফখর ও ইমামের শুরুর জুটিতে ১২৪ রান আসে ১২৮ বলে। ফিফটির পর ইনিংস বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি ইমাম। ৬৫ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় তিনি ৬৫ বলে করেন ৬০ রান।

দ্বিতীয় উইকেটে ফখর ও বাবরের ৮৪ বলে ৯০ রানের জুটি ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দেয় নিউ জিল্যান্ডকে। ফখর নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৯৯ বলে। অ্যাডাম মিল্নের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন বাবর। ৪৬ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় খেলেন ৪৯ রানের ইনিংস।

জয় থেকে ৩৪ রান দূরে থাকতে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় ফখরের দুর্দান্ত ইনিংসটি। শান মাসুদ ও আঘা সালমান ভালো করতে না পারলেও দলকে সমস্যায় পড়তে দেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৩৪ বলে ৪২ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটিতে ইয়াং ও চ্যাড বাওয়েস যোগ করেন ৪৮ রান। দশম ওভারে বাওয়েসকে (২৬ বলে ১৮) ফিরিয়ে পাকিস্তানকে প্রথম সাফল্য এনে দেন রউফ।

দ্বিতীয় উইকেটে ১০১ বলে ১০২ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন ইয়াং ও মিচেল। ইয়াং যেভাবে খেলছিলেন তার সেঞ্চুরি মনে হচ্ছিল খুব সম্ভব। কিন্তু স্পিনার শাদাব খানকে ছক্কার চেষ্টায় লং অফে ধরা পড়েন তিনি। ৮ চার ও ২ ছক্কায় গড়া তার ৮৬ রানের ইনিংস।

অধিনায়ক টম ল্যাথাম শুরু থেকে সংগ্রাম করছিলেন রানের জন্য। অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন মিচেল। ৩৯ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ২১৮ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় তাদের সংগ্রহ প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি।

এইচজেএস