আইপিএলে ঘরের মাঠে ধুঁকছে লিটন-মুস্তাফিজরা
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের মধ্যে ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) তর্কসাপেক্ষে সবচেয়ে জনপ্রিয়। অন্যান্য সকল টুর্নামেন্টের মতোই এখানেও ঘরের মাঠে স্বাগতিক দল বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে এবারের ১৬তম আসর কিছুটা ব্যতিক্রম। নতুন কয়েকটি নিয়ম নিয়ে এবারের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেসব সুবিধাসহ কয়েকটি কৌশল কাজে লাগিয়ে সুফল পাচ্ছে দলগুলো। তবে এবার ঘরের মাঠে বেশিরভাগ দলই তেমন সুবিধা করতে পারছে না!
ঘরের মাঠে লিটন দাসের কলকাতা নাইট রাইডার্স দুটি ম্যাচে হেরেছে। কেবল কলকাতাই নয় স্বাগতিক মাঠ সুবিধা দিচ্ছে খুবই কম দলকে। আইপিএলের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত ৩৩টি ম্যাচের মধ্যে ১৬টি ম্যাচে ঘরের মাঠের দল জিতেছে। বিপরীতে হারতে হয়েছে ১৭টি ম্যাচে। অন্যান্য বার এই পরিসংখ্যান ঘরের মাঠে জেতার ক্ষেত্রে অনেক বেশি থাকত। সেটা অবশ্য করোনার আগের সময়ের কথা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন >> টানা হারের পর যা বলছেন লিটনদের অধিনায়ক
গত রোববার (২৩ এপ্রিল) ইডেন গার্ডেনে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে হেরে যায় কলকাতা। ম্যাচটি নিয়ে নীতিশ রানার দল এই আসরে ৭ ম্যাচের ৫টিতেই হেরেছে। এর আগে তারা হায়দরাবাদের বিপক্ষেও ঘরের মাঠে হেরেছিল। টানা চার পরাজয়ে তারা টেবিলের অষ্টম স্থানে রয়েছে। আজকের দিল্লি-হায়দরাবাদের ম্যাচ শেষে আরও অবনমন হতে পারে কলকাতার।
ঘরের মাঠের সুবিধা যেকোনো দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। নিলামেও ঘরের মাঠের পরিবেশের কথা মাথায় রেখে দল গড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। প্রতিযোগিতার শেষে সেটাই পার্থক্য গড়ে দেয় এবং ট্রফি জেতার ক্ষেত্রেও ঘরের মাঠের রেকর্ড তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমবার আইপিএল জেতা রাজস্থান ঘরের মাঠের ৮টিতেই জয় পেয়েছিল। ২০১১ চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই আটটি ম্যাচের সবকটিই জিতেছিল ঘরের মাঠে। একই ফল মুম্বাইয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ২০১৩ আসরে প্রথম আইপিএল ট্রফি জেতার সময় তারাও ঘরের মাঠে সব ম্যাচে জয় পায়। ২০১৪ আসরে কলকাতা ইডেন গার্ডেন্সে চারটি ম্যাচের চারটিই জিতেছিল। কেবল এসব আসরই নয়, প্রায় প্রতিবারই এমন চিত্র দেখা গেছে।
আরও পড়ুন >> এবারের আইপিএলে যত নতুন নিয়ম
এবার ঘরের মাঠে আধিপত্য হারানোর পেছনে বেশ কিছু কারণ আলোচনায় এসেছে। প্রথমত, বর্তমানের নিলাম টেবিলে আইপিএলের দলগুলো অনেক বেশি বিশ্লেষণ করে। শুধু ঘরের মাঠই নয়, বাইরের মাঠেও জেতাতে পারেন এমন ক্রিকেটারদের দলে নেয় তারা। দ্বিতীয়ত, আগের তিনটি মৌসুম করোনার কারণে দেশের বাইরে হওয়ায় এবং ২০২২ সালে করোনার ভেতরই মেগা নিলাম হওয়ার কারণে ঘরের মাঠে সাফল্য এনে দেওয়ার মতো দল তৈরি করা যাচ্ছে না! তৃতীয়ত, ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম আসায় অনেক দলেই তারা বড় ব্যবধান গড়ে দিচ্ছেন। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই বেশি সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে দলগুলো।
অন্যদিকে, আইপিএলে এবার ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের রেকর্ড সবচেয়ে ভাল। তারা ৭২.৭ শতাংশ ম্যাচেই জিতেছে। তবে ঘরের মাঠে তারা রাজস্থানের কাছে হেরে যায়। হায়দরাবাদ এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ঘরের মাঠে তারা ৬৫.৯ শতাংশ ম্যাচে জিতেছে। এবার তারা রাজস্থান এবং মুম্বাইয়ের কাছে হেরে যায়।
এএইচএস