ব্রায়ান লারা ও শচীন টেন্ডুলকার বিশ্ব ক্রিকেটের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাদের ক্রিকেট নৈপুণ্যে মোহিত দর্শকদের মনে অসংখ্য তাজা স্মৃতি যুগ যুগ ধরে সংরক্ষিত রয়েছে। এবার দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে অনন্য শ্রদ্ধা দেখাল অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এসসিজি)। ভারতীয় লিটল মাস্টার শচীনের ৫০তম জন্মদিন এবং রেকর্ডের বরপুত্র লারার ২৭৭ রানের ইনিংসের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তারা এই উদ্যোগ নিয়েছে।

লারা ও শচীনের নামে এসসিজির একটি ফটকের নামকরণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, আর্থার মরিস, অ্যালান ডেভিডসনদের পাশে বসলেন লারা-শচীন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেছেন, ‘ব্রায়ান লারা ও শচীন টেন্ডুলকারের নামে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ফটকের নামকরণ খুবই সময়োপযোগী সৌজন্যতা।’

এসসিজি ফটকে লারা-শচীনের নামফলক

এর আগে থেকেই এসসিজিতে অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি ও সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের নামে একটি ফটক ছিল। রীতি অনুযায়ী, সেই ফটক দিয়ে যেকোনো ম্যাচে প্রবেশ করে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। এখন থেকে সফরকারী দল লারা-টেন্ডুলকারের নামে নামকরণ করা ফটক দিয়েও মাঠে ঢুকবে।

আরও পড়ুন >> শচীনের অর্ধশত বসন্ত

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শচীন টেন্ডুলকারের ৫০তম জন্মদিন ও ব্রায়ান লারার বিখ্যাত ২৭৭ রানের ইনিংসের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এসসিজি কর্তৃপক্ষ এ নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ (২৪ এপ্রিল) টেন্ডুলকারের ৫০তম জন্মদিন। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা খেলেছিলেন ২৭৭ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস।

দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে শচীন এসসিজিতে ৫টি টেস্ট খেলেছেন। খেলেছেন বেশ কিছু ওয়ানডে ম্যাচও। এই মাঠে টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ১৫৭। এসসিজির এই সম্মানে পুরনো স্মৃতিতে ফিরে গেছেন শচীন, ‘সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ভারতের বাইরে আমার সবচেয়ে প্রিয় মাঠ। এ মাঠে আমার বেশ কিছু দুর্দান্ত স্মৃতি আছে। বিশেষ করে ১৯৯১–৯২ মৌসুমে ভারতের হয়ে আমার প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরের স্মৃতি খুব মনে পড়ছে।’

আরও পড়ুন >> জীবনের মন্থরতম পঞ্চাশ শচীনের

অন্যদিকে সিডনি মাঠে চারটি টেস্ট খেলেছেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি লারাও। যেখানে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ২৭৭। সেই স্মৃতি নিয়ে এসসিজি কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সাবেক এই বাঁ-হাতি ব্যাটার, ‘আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। এই মাঠে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আমার বিশেষ এক স্মৃতি আছে। তাই অস্ট্রেলিয়াতে গেলেই আমি এসসিজিতে যাই।’

এএইচএস