মাস্টারক্লাস ধোনি, জাদেজা-কনওয়ে ঝলকে সহজ জয় চেন্নাইয়ের
ক্রিকেটে একটা কথা বেশ বলতে শোনা যায়, একজন আছেন যিনি উইকেটের পেছনে থেকেই অনায়াসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। তিনি আর কেইবা হবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ছাড়া! কিপিং গ্লাভস হাতে স্মরণীয় একটা দিন কাটালেন ধোনি। একটা ম্যাচে একজন উইকেটরক্ষকের পক্ষে সম্ভাব্য যা কিছু করা সম্ভব, সবই করলেন।
মার্করামের ক্যাচ, আগারওয়ালের স্টাম্পডের পর গ্লাভস খুলে রেখে সরাসরি থ্রোতে ওয়াশিংটন সুন্দরকে রানআউট। ধোনিকে ব্যাখ্যা করার সাধ্য কার! মাস্টারক্লাস ধোনির পারফরম্যান্সের দিনে বল হাতে আলো ছড়ালেন রবীন্দ্র জাদেজা। পরে ডেভন কনওয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে হায়দারাবাদকে ৭ উইকেটে হারায় চেন্নাই সুপার কিংস।
বিজ্ঞাপন
অবশ্য এ জয়েও আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় কোনো নড়চড় হয়নি। পয়েন্টের নিরিখে শীর্ষে থাকা রাজস্থান আর লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে ছু্ঁয়ে ফেললেও চেন্নাই রয়ে গেছে সেই তিনেই। তিন দলেরই পয়েন্ট এখন সমান ৮। তবে নেট রানরেটে রাজস্থান ও লখনৌর চেয়ে পিছিয়ে থাকায় তিনেই থেকে যেতে হলো ধোনির দলকে। অন্যদিকে নয়ে অবস্থান হায়দারাবাদের।
শুক্রবার হায়দরাবাদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। হায়দরাবাদকে ভালো শুরু এনে দেন হ্যারি ব্রুক ও অভিষেক শর্মা। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান করছিলেন তারা। চেন্নাইকে প্রথমে খেলায় ফেরান আকাশ সিং। ১৮ রানের মাথায় ব্রুককে আউট করেন তিনি।
পেসাররা খুব একটা সুবিধা পাচ্ছেন না দেখেই মগজাস্ত্র প্রয়োগ করলেন ধোনি। আর সেখানেই কুপোকাত হায়দারাবাদ। মিডল ওভারে তিন স্পিনারকে কাজে লাগালেন ধোনি। মহেশ থিকশানা, রবীন্দ্র জাডেজা ও মইন আলি সমস্যায় ফেললেন ব্যাটারদের। হাত খুলে খেলতে পারলেন না হায়দারাবাদের ব্যাটাররা।
অভিষেক শর্মা ও রাহুল ত্রিপাঠি শুরুটা ভালো করলেও বড় রান করতে পারলেন না। অভিষেক ৩৪ ও ত্রিপাঠি ২১ রান করে আউট হলেন। বাকি ব্যাটাররাও রান পেলেন না। স্পিনারদের দেখে গতির হেরফের করে শেষ দিকে সফল পেসাররাও। চেন্নাইয়ের বোলারদের দাপটে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে হায়দারাবাদ। চেন্নাইয়ের হয়ে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জাদেজা।
এদিকে, টার্গেট তাড়া করতে নেমে যে উইকেটে হায়দারাবাদের ব্যাটারদের খেলতে সমস্যা হল সেই উইকেটেই শুরু থেকে হাত খুলে খেললেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩৩ বলে অর্ধশত রান করেন কনওয়ে।
চেন্নাইয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙার জন্য চেষ্টার কমতি রাখোননি হায়দারাবাদ কাপ্তান মার্করাম। ছ’জন বোলারকে প্রথম ১০ ওভারেই ব্যবহার করেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই উইকেট পড়ছিল না। ৩৫ রান করে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হন গায়কোয়াড়। কনওয়ের মারা শট বোলার উমরান মালিকের পায়ে লেগে উইকেটে লাগায় রানআউট হন তিনি। রান পাননি আজিঙ্কা রাহানে। আম্বাতি রায়ডুও মাত্র ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তাতে অবশ্য জিততে সমস্যা হয়নি চেন্নাইয়ের। শেষ পর্যন্ত ৮ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যান ধোনিরা। ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন কনওয়ে।
এফআই/এমএ