হারের পর হার, আইপিএলের ১৬তম আসর যেন দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য দুঃস্বপ্ন নিয়ে হাজির হয়েছে। টানা পাঁচ হারে তারা জয়ের আনন্দ কেমন হতে পারে সেটাই ভুলতে বসেছিল। ষষ্ঠ ম্যাচে এসে লিটন দাসের কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল সৌরভ গাঙ্গুলির দিল্লি। টানা ব্যর্থতায় দলটির মেন্টরের দায়িত্বে থাকা ভারতীয় ক্রিকেটের এই মহারাজাকেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। সেই কারণেই কিনা ম্যাচ জয়ের পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে গাঙ্গুলি ফিরে গেলেন অতীতে!

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়াই ম্যাচটিতে খেলতে নামে দিল্লি। মূলত দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়েও বল হাতে ব্যর্থ ফিজকে না বসিয়েও তাদের উপায় ছিল না। ফলে লিটনের অভিষেক ম্যাচেই ডাগআউটে ফিরতে হয় ফিজকে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে হতাশামাখা যাত্রা শুরু হলো টাইগার ওপেনারের। ব্যাটের পর উইকেটকিপিংয়েও নিষ্প্রভ লিটনকে দেখা গেছে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই ক্লাসিক ব্যাটার।

টানা হারের বৃত্তে আটকে যাওয়ায় দিল্লি দলে ‘ডিরেক্টর অব ক্রিকেট’ সৌরভ গাঙ্গুলির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। একইসঙ্গে কোচের দায়িত্বে থাকা সাবেক অজি অধিনায়ক রিকিং পন্টিংও পড়েন তোপের মুখে। তবে কেকেআরের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে গাঙ্গুলি-পন্টিংদের। উচ্ছ্বসিত গাঙ্গুলি এরপর ফিরে যান ২৭ বছর আগের ক্যারিয়ারে। তিনি বলছেন, ‘প্রথম জয়ের দেখা পেয়ে আমরা খুশি। ডাগ আউটে বসে ভাবছিলাম, এটা অনেকটা আমার প্রথম টেস্ট রানের মতো, সেই ২৫ বছর আগে (২৭ বছর)…! জিততে পেরে আমরা খুশি। আজকের ম্যচের কথা বললে, ভাগ্য আমাদের পাশে ছিল।’

বোলারদের ওপর সন্তুষ্ট হলেও ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে হতাশ গাঙ্গুলি, ‘এই মৌসুমে আমরা ভালো বল করেছি, এমনকি এই ম্যাচের আগেও। ভালো ব্যাটিং উইকেট, গতিময় আউটফিল্ডে খেলা হচ্ছে। বোলাররা তাই ভালোই করছে। সমস্যা আমাদের ব্যাটিংয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ আজকে বোলিং ছিল অসাধারণ। স্পিনাররা দুর্দান্ত করেছে, পেসাররাও। (আনরিখ) নরকিয়া তো দারুণ বোলিং করে চলেছে। তবে ব্যাটিংয়ে অনেক কাজ করার আছে। কীভাবে আরও ভালো ব্যাটিং করতে পারি তা আমাদের ভাবতে হবে। এই ব্যাটারদের অনেকেই অনেক টি-টোয়েন্টি খেলেছে। তাই আরও ভালো করার পথ বের করতে হবে তাদেরকেই।’

১৯৯৬ সালে টেস্ট অভিষেকে লর্ডসে শুধু প্রথম রানই পাননি সৌরভ, পরে সেটিকে রূপ দিয়েছিলেন টেস্ট সেঞ্চুরিতে। পরে তিনি সেঞ্চুরি করেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেও। তৃতীয় টেস্টে করেন ফিফটি। পরে নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেটে বাঁক বদলের নায়ক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেন। তার অধীনে ভারত অবিস্মরণীয় সব জয়ের দেখা পায়।

এএইচএস