একান্ত সাক্ষাৎকারে নাসুম আহমেদ
‘ভালো করতে পারিনি, আর কোনো কারণ নেই’
২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় নাসুম আহমেদের। লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেকের পর থেকেই রয়েছেন দলের সঙ্গে। জাতীয় দলের হয়ে ৩৩ টি-টোয়েন্টির সঙ্গে ৬ ওয়ানডে ম্যাচও খেলেছেন নাসুম। তবে সবশেষ ঘোষিত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরতি ওয়ানডে সিরিজের দলে জায়গা পাননি বাঁহাতি এই অর্থডক্স স্পিনার।
সর্বশেষ দেশের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ভালো করলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছিলেন সাদামাটা। পারফরম্যান্সে এমন বিবর্ণ থাকার কারণ, ড্রেসিংরুমের গুঞ্জন এবং বিশ্বকাপসহ ভবিষ্যতের আরও অনেক পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা বলেছেন টাইগার এই স্পিনার।
বিজ্ঞাপন
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ভালো করলেও টি-টোয়েন্টিতে ঠিক সুবিধা করতে পারেননি এটার কারণ কি?
নাসুম: কোনো কারণই নেই আসলে, মূল কথা টি-টোয়েন্টিতে আমি ভালো করতে পারিনি। কেউ তো ইচ্ছা করে খারাপ করে না। চেষ্টার কমতি ছিল না, তবে ভালো করতে পারিনি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে অবশ্য বল করারও খুব বেশি সুযোগ পাননি, ভালো না করার এটি একটি কারণ কি না?
নাসুম: না, সুযোগ বলতে এসব কিছু না। আসলে দলের একটা প্ল্যান থাকে যাদের যেভাবে যখন দরকার হবে ব্যবহার করবে। এটা একটা টেকনিক্যালি ব্যাপার আর কি। এটা তেমন কিছু না।
দলে মানসিক পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে সেটা আসলে কি?
নাসুম: পরিবর্তন বলতে আসলে সবাই এখন জানে কার কি কাজ। নিজেদের টাস্ক সম্পর্কে সবাই এখন অবগত।
বাংলাদেশ দল এই মুহূর্তে ওয়ানডে ক্রিকেটে অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলছে এটা আপনার কাছে কতটা স্বস্তিদায়ক?
নাসুম: অবশ্যই এটা ভালো দিক। আমাদের ক্রিকেটের জন্য এটা অনেক বড় কিছু। আশা রাখছি এই ধারা অভ্যাহত থাকবে।
এরকম অ্যাটাকিং ক্রিকেট বিশ্বকাপে কতটা কাজে লাগবে?
নাসুম: বিশ্বকাপে কাজে লাগবে কি না জানি না তবে এরকম ক্রিকেট খেললে অবশ্যই ভবিষ্যতের জন্য সেটা ভালো। অবশ্যই ভালো কিছু হবে।
নতুন প্রধান কোচ হাথুরুর সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগছে?
নাসুম: মাশাআল্লাহ, খুবই ভালো। আমরা সবাই তো জানি তিনি কেমন মানের কোচ। আশা করি এই ধারা বজায় থাকবে।
রঙ্গনা হেরাথ থেকে নতুন কোনো কিছু আয়ত্ত করেছেন কি না?
নাসুম: না দেখেন আসলে শেখার কিছু নেই। এমনি নতুন কিছু না তবে কিছু কিছু টেকনিক তো থাকেই যেগুলো শেখা হয়ে যায়।
স্পিনাররা এতদিন ডমিনেট করত এখন পেসাররা করছে বিষয়টা কিভাবে দেখেন?
নাসুম: এটা ভলো দিক অবশ্যই। আমাদের এখন দুই দিক থেকেই পার্টনারশিপ হবে। পেস বোলিংও হচ্ছে, স্পিন বোলিংও হচ্ছে। যখন যেটার প্রয়োজন হবে তখন সেটা ব্যবহার করতে পারব। যেহেতু অপশন থাকছে হাতে।
ওয়ানডে দলে আসছেন আবার বাইরে চলে যাচ্ছেন এতে মানসিকভাবে কোনো ইফেক্ট পড়ছে কি না?
নাসুম: না আমার এসব সমস্যা হয় না। যে কারণে মানসিকভাবে কোনো ইফেক্ট পড়ে না আমার মধ্যে।
ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ সেখানে নিজের খেলার সম্ভাবনা কতটুকু দেখেন?
নাসুম: আমি খেলব এবং ভালো কিছু করব। দেশের জন্য ভালো কিছু করব ইনশাআল্লাহ।
ড্রেসিংরুমের আবহাওয়া এখন কেমন আসলে যেহেতু একটা গুঞ্জন ছিল?
নাসুম: ওইগুলো গুঞ্জনই, এসব আপনাদের (সাংবাদিক) মধ্যেই। আমাদের মধ্যে এগুলো কোনো গুঞ্জন নেই। আমরা ঠিকই আছি আলহামদুলিল্লাহ। সব সময় একইরকম আছি।
এসএইচ/এফআই