দারুণ এক কাভার ড্রাইভে বল পাঠালেন বাউন্ডারিতে। আইপিএল অভিষেকে প্রথম বলেই চার মেরে শুরুটা করেছিলেন লিটন দাস। এমন আত্মবিশ্বাসী শুরুর পর বড় ইনিংসেরই প্রত্যাশা করছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু সেটি হয়নি। পেসার মুকেশ কুমারের বলে তিনি মাত্র ৪ রানেই তালুবন্দী হয়ে ফিরেছেন। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে লিটনকে নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে মূলত তার বাজে উইকেটকিপিং নিয়ে। উইকেটের পেছনে সুযোগ মিসের মহড়ায় রীতিমতো কেকেআর সমর্থকদের রোষানলে পড়েছেন টাইগার এই উইকেটকিপার ব্যাটার। সংবাদমাধ্যমেও খলনায়কের ভূমিকায় দেখানো হচ্ছে তার নাম। 

দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর দুই ম্যাচ একাদশের বাইরে। অতঃপর অপেক্ষার প্রহর ফুরিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) অভিষেক হয় লিটনের। কিন্তু অভিষেক ম্যাচটি স্মরণীয় করতে রাখতে পারলেন না তিনি। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে তার আইপিএলের শুরুটাও হয়েছে মেঘের মতোই অন্ধকার। জেসন রয়ের সঙ্গে এদিন প্রথমবারের মতো আইপিএলে খেলতে নামেন লিটন। প্রথম বলেই ইশান্ত শর্মাকে দারুণ ড্রাইভে তিনি অফসাইডে বাউন্ডারি হাঁকান। এরপর তিনি খেলছিলেন দেখে-শুনে। কিন্তু  বাউন্সি বলে খেলতে গিয়ে লিটন ক্যাচ তুলে দেন। শেষ পর্যন্ত ৪ বলে ৪ রানে থামে আইপিএলে লিটনের প্রথম ইনিংস। 

লিটনের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে মুখ থুবড়ে পড়ে কলকাতার ব্যাটিং লাইন-আপও। গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৭ রানে। স্বল্প পুঁজি নিয়েও ম্যাচটা জমিয়ে ফেলেছিলেন কলকাতার বোলাররা। এদিন আফগান উইকেটকিপার ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে বসিয়ে লিটনকে সুযোগ দেওয়া হয়। যদিও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মোটেও। এদিন দু’টি সহজতম স্টাম্পিংয়ের সুযোগ মিস করে বসেন লিটন।

১৮ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বরুণ চক্রবর্তীকে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন দিল্লির ললিত যাদব। লিটনের সামনে সুযোগ ছিল স্ট্যাম্পিংয়ের। তবে হেলায় সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়। বল হাতে রাখতে পারেননি, স্টাম্পও ভাঙতে পারেননি। পরের ওভারে আরও একবার স্টাম্পিং মিস করেন লিটন। 

কলকাতার হারের জন্য লিটনের বাজে উইকেটকিপিংকে দায়ী করছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সমর্থকরা। অনেক সমর্থক টুইটারে বাজেভাবে আক্রমণ করছেন। ভারত ছাড়ার কথাও বলছেন কেউ কেউ। 

এফআই