বেন স্টোকস ও তার গুরু ব্রেন্ডন ম্যাককালামের হাত ধরে বদলে গেছে ইংল্যান্ডের টেস্ট আবহ। আক্রমণাত্মক মেজাজে সাদা পোশাকের ম্যাচেও তারা বাড়তি উত্তেজনা তৈরি করেছেন। তার পুরস্কারও পেয়েছেন স্টোকস। তার নেতৃত্বে গত বছর ১০ টেস্টের ৯টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। এরপর তিনি বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেন। এবার উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন। নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে উইজডেনের বর্ষসেরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান বেথ মুনি।

এ নিয়ে বেন স্টোকস গত চারবারের মধ্যে তিনবারই উইজডেনে সেরার খেতাব জিতে নিয়েছেন। টেস্টে বছরজুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও খেলেছিলেন ৫২ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস।

এই ইংলিশ অলরাউন্ডার গত বছর ইংল্যান্ডের খেলা ১৫টি টেস্টেই ছিলেন। ওই সময়ে ব্যাট হাতে তিনি ৩৬.২৫ গড় ও ৭১.৫৪ স্ট্রাইক রেটে করেছেন বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮৭০ রান। দুটি সেঞ্চুরির সঙ্গে তিনি ৪টি ফিফটিও করেছেন। একইসঙ্গে বোলিংয়েও উজ্জ্বল ছিলেন স্টোকস। ৩১.১৯ গড়ে নিয়েছেন ২৬ উইকেট। বার্মিংহামে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে রাখেন বড় অবদান। স্টোকস অধিনায়কত্ব নেওয়ার আগের ১৭ টেস্টে ইংল্যান্ড জিতেছিল মাত্র ১টিতে। কিন্তু তার নেতৃত্বে দুর্দান্ত সময় পার করছে দলটি।

অস্ট্রেলিয়ান বেথ মুনি দ্বিতীয়বারের মতো হয়েছেন উইজডেনের বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার। দুই সপ্তাহের ইনজুরি থেকে ফিরেই তিনি ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ টেস্টে স্মরণীয় ৬৩ রান করেন। গত বছর ওয়ানডে ফরম্যাটে মুনি ১০০ গড়ে ব্যাট করেছেন। একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকে সর্বোচ্চ ৭ম শিরোপা জয়ের ফাইনালেও হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

বর্তমানে অফ-ফর্মে থাকা টি-টোয়েন্টির সূর্যকুমার মানেই ‘বিধ্বংসী’ ব্যাটার

উইজডেনের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। ২০২২ সালে ৩১টি টি-টোয়েন্টিতে ৪৬.৫৬ গড়ে তিনি ১১৬৪ রান করেন। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে কোনো ব্যাটসম্যানের এক বছরে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এছাড়া উইকেটের চারপাশে সব উদ্ভাবনী শট খেলে বিশেষভাবে দৃষ্টি কাড়েন তিনি। ১৮৭.৪৩ স্ট্রাইক রেটে রান তোলার পথে তিনি ৬৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ ছয়ের কীর্তি।

এবারের উইজডেনে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তালিকায় আরও স্থান পেয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার বেন ফোকস ও ম্যাথু পটস, নিউজিল্যান্ডের টম ব্লান্ডেল ও ড্যারিল মিচেল এবং ভারতীয় নারী দলের অধিনায়ক হারমনপ্রীত কৌর। এছাড়া  জনি বেয়ারস্টো ‘উইজডেন ট্রফি উইনার’ হয়েছেন।

এএইচএস