দুজনই ভারতীয় ক্রিকেটের অনন্য সম্পদ। অথচ কথিত আছে তাদের কেউ কারও ছায়া মাড়ান না, সামনাসামনি দেখায়ও করেন না চোখাচোখি। মূলত এই শীতল সম্পর্কের সূত্রপাতটা হয়েছে বিরাট কোহলি জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালে। একই সময় দেশটির ক্রিকেটীয় মহারাজা সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন বোর্ড (বিসিসিআই) প্রধান। দুজনের দ্বন্দ্বের জেরে সেই সময় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নেতৃত্ব থেকে কোহলিকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। 

যৌথ সম্পর্কের সেই শীতলতা সম্প্রতি আবারও দেখা গেছে আইপিএলের মঞ্চে। ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির ১৬তম আসর চলছে। গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) সৌরভ গাঙ্গুলীর দিল্লিকে ২৩ রানে হারায় কোহলিদের বেঙ্গালুরু। ম্যাচজুড়ে কোহলি ও গাঙ্গুলির মধ্যকার বিরূপ সম্পর্কের উষ্ণতা বারবারই দেখা মিলেছে।

যার ধারাবাহিকতায় ম্যাচ শেষে দেখা যায়, দু’দলের খেলোয়াড় ও কোচিং প্যানেলের সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে সৌজন্য হাত মেলাচ্ছেন। কিন্তু যখন কোহলি ও গাঙ্গুলি হাত মেলানোর সময় আসে, একে অপরকে এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে সে সময়কার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ফাফ ডু প্লেসির পেছনেই ছিলেন কোহলি। গাঙ্গুলি প্লেসির সঙ্গে যখন হাত মেলাচ্ছেন, সেই সময় কোহলি গাঙ্গুলির সামনে থাকা পন্টিংয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এরপর গাঙ্গুলি কোহলিকে টপকে তার পেছনে থাকা অন্যদের সঙ্গে হাত মেলাতে থাকেন। গাঙ্গুলি-কোহলি কেউই হাত মেলানোর চেষ্টাও করেননি। যদিও ব্যাপারটি ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত সেটা স্পষ্ট নয়!

এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সৌরভকে ‘আনফলো’ করে দিয়েছেন কোহলি। অবশ্য সৌরভের ‘ফলো’ তালিকায় এখনো কোহলির নাম দেখা যাচ্ছে। তবে দুজনের পারস্পরিক সম্পর্কে যে ব্যাপক অবনতি হয়েছে, সেটি গত দুই দিনের ঘটনাপ্রবাহে আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে।

এফআই