ছবি: সংগৃহীত

শেষ ওভারে কলকাতার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। ইয়াশ দয়ালের প্রথম বলে উমেশ যাদব এক রান নিলে ৫ বলে প্রয়োজন হয় ২৮ রানের।  এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে টানা পাঁচ বলে ৫টি ছক্কা হাঁকান রিংকু সিং। এই তরুণ ব্যাটার যা করে দেখিয়েছেন তা কল্পনাও করতে পারেতেন না বিরাট কোহলি, এমনটা তিনি নিজেই জানিয়েছেন। 

গত রোববার (৯ এপ্রিল) আহমেদাবাদে ১৫৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা কলকাতার শেষ ৮ বলে চাহিদা ছিল ৩৯ রানের। কোনো ব্যাটারের পক্ষে এমন সমীকরণ মেলানো অসম্ভবের পর্যায়েই পড়ে। তবে রিংকু সেটাকে সম্ভব করে ছাড়লেন। গুজরাটের আইরিশ পেসার জশ লিটলের করা ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে তিনি মারেন যথাক্রমে ছক্কা ও চার। এরপর দয়ালকে কচুকাটা করে ইতি টানেন উত্তেজনায় ভরপুর এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের।

২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি ছিল ফুল টস। লং অফ দিয়ে তা সীমানার বাইরে পাঠান রিংকু। পরের দুটি বলও ফুল টস দেন বাঁহাতি বোলার দয়াল। যথাক্রমে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ ও লং অফ দিয়ে হয় ছক্কা। অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা পঞ্চম বলটিতেও আসে একই ফল। এবারে লং অন দিয়ে সীমানার বাইরে আছড়ে পড়ে বল।

রিংকুর তাণ্ডবে শেষ বলে ৪ রান দরকার হয় কলকাতার। এলোমেলো হয়ে পড়া দয়াল অফ স্টাম্পের বাইরে করেন শর্ট ডেলিভারি। রিংকু তীরে পৌঁছে তরী ডোবাতে দেননি। লং অন দিয়ে হাঁকান জয়সূচক ছক্কা। গুজরাটের খেলোয়াড়রা যখন হতাশায় ডুবে যাচ্ছিলেন, তখন দৌড়ে মাঠের ভেতরে ঢুকে রিংকুকে নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন কলকাতার খেলোয়াড়রা। 

রিংকুর এমন ইনিংসের প্রশংসা করে কোহলি বলেছেন, ‘এখনকার তরুণ খেলোয়াড়েরা যা করছে, তা অসাধারণ! এবারের আইপিএলের দিকেই তাকান, তরুণ খেলোয়াড়েরা যা করছে, আমি তা ভাবতেও পারতাম না।’

'রিংকু সিং শেষ ৫ বলে ৫ ছক্কা মেরেছে। এটা অসাধারণ এক ব্যাপার এবং এমন ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। ক্রিজে এসেই ম্যাচ জেতাতে টানা ৫ বলে ৫ ছক্কা মারা। একটু ভেবে দেখুন, এটা কোন পর্যায়ের!’-যোগ করেন কোহলি।

এইচজেএস