এখনো আইপিএল মাতাচ্ছেন যেসব পাকিস্তানি!
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বিশ্বের সব দেশের তারকা ক্রিকেটারদের মিলনমেলা বসলেও ২০০৯ সাল থেকেই লিগটিতে অংশ নিতে পারছে না পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। যদিও ফর্মের বিচারে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই তারা। ২০০৮ সালে আইপিএলের উদ্বোধনী আসরে পাকিস্তানের ১১ ক্রিকেটার অংশ নিয়েছিলেন। যাদের মধ্যে ছিলেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতারও। এমনকি সে আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন একজন পাকিস্তানি পেসার।
কিন্তু রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে আইপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটার নিষিদ্ধ করে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে অবাক করা বিষয়, এখনও দিব্যি আইপিএল খেলে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি।
বিজ্ঞাপন
এ তালিকায় সবার আগে নাম আসবে ইংলিশ তারকা অলরাউন্ডার মঈন আলীর। জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দা। মঈন আলীর বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডে হলেও উর্দু এবং পাঞ্জাবিতে ভালোই পারদর্শী তিনি। ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার সুবাদে অনেক দিন ধরেই আইপিএল মাতানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কলকাতার হয়ে যেসব ম্যাচ খেলবেন লিটন (সময়সূচি)
আরেক ক্রিকেটার আদিল রশিদ। তার জন্ম ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে। তবে তার পূর্বপুরুষরাও মঈন আলীর মতো পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দা। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তারা। ফলে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে খেলার সুবাদে সুযোগ হয়েছে আইপিএল খেলার। যদিও তার ক্যারিয়ারটা মঈন আলীর মতো খুব বেশি লম্বা নয় আইপিএলে।
এ তালিকায় রাখা যায় পাকিস্তান জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার আজহার মাহমুদকেও। পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ২১ টেস্ট ও ১৪৩ ওয়ানডে ম্যাচ খেলা আজহার আইপিএলে খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে। পাকিস্তান ও ব্রিটেনের দ্বৈত পাসপোর্টধারী হওয়াতেও এ সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
পাকিংস্তানি বংশোদ্ভুত হয়ে আইপিএলে সর্বশেষ সংযোজন সিকান্দার রাজা। জন্ম পাকিস্তানের শিয়ালকোটে। বেড়ে ওঠাও সেখানে। পরে অবশ্য নাগরিকত্ব পরিবর্তন করেন। চলে যান জিম্বাবুয়েতে। খেলছেন জিম্বাবুয়ের হয়ে। সেই সুবাদে এবার প্রথমবার সুযোগ পেলেন আইপিএলে। খেলছেন পাঞ্জাব কিংসের হয়ে।
এফআই