২০১৬ সাল থেকে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ (২০১৯) পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ছিলেন উইন্ডিজ কিংবদন্তী কোর্টনি ওয়ালশ। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী সাবেক এই পেসার দায়িত্বে ছিলেন মাশরাফি-তাসকিন ও মুস্তাফিজদের। এরপর তিনি নিজ দেশের নারী ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ এবং পরবর্তীতে প্রধান কোচ হন। সম্প্রতি তার সঙ্গে দলটির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে পুনরায় কোচ করার সম্ভাবনা থাকলেও, সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওয়ালশকে।

কেবল ওয়ালশই নন, দলটির দুই সহকারী কোচ রবার্ট স্যামুয়েলস এবং কোরি কোলিমোরকেও রাখছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

২০২০ সালে দেশটির নারী দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর ওয়ালশের অধীনে পরের বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম এবং অ্যাওয়ে দুটি সিরিজেই তারা জয় পেয়েছিল। এমনকি পরের বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে উইন্ডিজরা সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের সময়ও তিনি দলটির ডাগআউটের দায়িত্বে ছিলেন।

তার সময়কালে ২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র ৭টিতে জয় পায় উইন্ডিজরা। এছাড়া ৩১টি ওয়ানডে ম্যাচে তাদের জয় ১১ ম্যাচে। এমন বাজে পারফরম্যান্সের পর চলতি বছরে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে উঠতেও ব্যর্থ হয় দলটি। পুরো টুর্নামেন্টে তারা ৪টি ম্যাচের মাত্র দুটিতে জয়ের ফলে গ্রুপের বাকি দু’দল ইংল্যান্ড ও ভারতের চেয়ে পিছিয়ে পড়ে।

কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে অভিজ্ঞতার বিষয়ে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরিচালক জিমি অ্যাডামস বলছেন, ‘গত আড়াই বছর ধরে কোর্টনি ও তার সহযোগী টিমের অবদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা তাদের পরবর্তী জীবনের সফলতা কামনা করছি।’

একইসঙ্গে নারী ক্রিকেট দলের জন্য নতুন করে পূর্ণাঙ্গ কোচিং প্যানেল খোঁজার কথা জানিয়েছে উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। 

এএইচএস