কাটার মাস্টার’খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল শুরু হয়েছে হার দিয়ে। তবে প্রথম তিন ওভারে বেশ প্রশংসনীয় বল করেছিলেন তিনি। প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগানোর চেষ্টা ছিল তার। কিন্তু শেষ ওভারে সব এলোমেলো হয়ে যায়। নিজের পছন্দের কাটার বল করেও সেই ওভারে দুটি ছক্কার বাউন্ডারি আসে। যা কার্যত ‍দিল্লি ক্যাপিটালসের জয় কঠিন করে তোলে। 

এর আগে তুমুল মারমুখি মেজাজে খেলতে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে আউট করেন এই বাঁ-হাতি পেসার। সেই ব্রেক থ্রু দিল্লিকে ম্যাচে ফেরায়। রোহিতকে আউট করতে টাইগার পেসার ওয়াইড ইয়র্কারে বল করছিলেন। যা কাজে লেগে যায়। তবে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুসারে নিজের শেষ ওভারে দুটি কাটার করেন মুস্তাফিজ। কিন্তু সেটি কাজে না লাগার কারণ জানিয়েছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।

ক্রিকবাজের পোস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠানটিতে সাইমন ডুল বলেছেন, ‘১৯তম ওভারে ফিজকে দিয়ে বোলিং করানো সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। তবে অন সাইডে বাউন্ডারিটা ছোট ছিল। আর মোস্তাফিজ ব্যাটসম্যানের শরীরের কাছাকাছি বল করেছে। যে কারণে গ্রিন আর ডেভিড ছক্কা মেরেছে।’

আরও পড়ুন : ম্যাচ হারলেও মুস্তাফিজের প্রশংসায় ওয়ার্নার

এর আগে ম্যাচে ১৯তম ওভারে বলে আসেন মুস্তাফিজ। অধিনায়কের সেই আস্থার প্রতিদানও তিনি দেওয়ার ইঙ্গিত দেন প্রথম তিন বলে। কারণ সেই ৩ বলে রান দিয়েছেন মাত্র দুটি। কিন্তু চতুর্থ বলে ক্রিজে থাকা অজি ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিনের জন্য ফিজ স্লোয়ার কাটার দেন। সেটি ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারেন গ্রিন। এরপর শেষ বলে আরেক অজি ব্যাটার টিম ডেভিডের জন্য একইভাবে কাটার দেন টাইগার পেসার। এবার ডেভিড ওয়াইড লং অন দিয়ে বলটি উড়িয়ে সীমানাছাড়া করেন। যার মাধ্যমে নির্ধারিত ৪ ওভার শেষে এক উইকেটের বিনিময়ে মুস্তাফিজ দেন ৩৮ রান।

মুস্তাফিজের সেই বল দুটির ধরন ব্যাটাররা আগেই বুঝে গিয়েছিল বলে মন্তব্য ভারতীয় ব্যাটার মনোজ তিওয়ারির, ‘আপনার কাছে যখন কাটার থাকবে, তখন বলটাকে জায়গায়ও ফেলতে হবে। আগে থেকেই ব্যাটসম্যান প্রস্তুত ছিল। মোস্তাফিজ লেংথ পরিবর্তন করতে পারত। বল আরেকটু সামনে কিংবা ওয়াইড করতে পারত। একজন ব্যাটসম্যান যদি আগে থেকেই জানে বোলার কী বল করবে, তখন ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়।’

দিল্লির হারের ম্যাচে কেবল মুস্তাফিজই নন, দলের তিন পেসারই বেশ খরুচে বল করেছেন। দুই উইকেট পেলেও মুকেশ কুমার ২ ওভারে ১৫ গড়ে রান দিয়েছেন। দলের প্রধান বোলার এনরিখ নরকিয়াও সফল ছিলেন না। ৪ ওভারে ৩৫ রান দেওয়া এই প্রোটিয়া পেসার কোন উইকেট পাননি।

এএইচএস