ছবি: সংগৃহীত

ইয়াশভি জয়সাওয়াল আর জস বাটলারের ব্যাট আজ যেন তলোয়ার হয়ে ওঠেছিল! বিশেষ করে দিল্লির পেসারদের জন্য। অভিজ্ঞ এনরিখ নরকিয়া কিংবা তরুণ খলিল আহমেদ কেউই বল ফেলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। দিল্লির বোলারদের  কচুকাটা করে বড় সংগ্রহ গড়েছিল বাটলারের দল। এরপর আলো ছড়িয়েছেন রাজস্থানের বোলাররাও। এমন আধিপত্য দেখানো পারফরম্যান্সে ৫৭ রানের বড় জয় পেয়েছে রাজস্থান।

রাজস্থানের দেয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায়নি দিল্লি। তারা দলীয় কোনো রান যোগ করার আগেই উপরের সারির দুই ব্যাটারকে হারায়। নিজের প্রথম ওভারেই টানা দুই বলে পৃথ্বী শ ও মানিষ পান্ডেকে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। এই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি দিল্লি।

বোল্ট এরপর ফিরিয়েছেন দারুণ খেলতে থাকা ললিত যাদবকে (৩৮)। এরপর ওয়ার্নার একা দিল্লির ইনিংস টানলেও তা যথেষ্ট ছিল না জয় পাওয়ার জন্য। এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৫৫ বলে ৬৫ রান করে। যুবেন্দ্র চাহালের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।

সেই ওভারেই এর আগে অভিষেক পোরেলকেও (৭) ফিরিয়েছিলেন চাহাল। অবশ্য ধীর ব্যাটিং ও নিয়মিত উইকেট হারানোর ফলে দিল্লির হার আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তারা নিধারিত ২০ ওভারে তারা সংগ্রহ করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে। 

এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়েই বড় জুটি গড়েন দুই ওপেনার জস বাটলার ও ইয়াসভি জায়সাওয়াল। তার দুজনে যোগ করেন ৯৮ রান। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৩১ বলে ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন জায়সাওয়াল।

এরপর অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন ফিরেছেন শূন্য রান করে। রায়ান পরাগ আউট হয়েছেন ৭ রান করে। যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে রাজস্থানের রান বাড়িয়েছেন বাটলার। তিনি ৫১ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। শেষদিকে শিমরন হেটমায়ারের ২১ বলে ৩৯ রানে ভর বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় রাজস্থান।

ধ্রুব জুরেল ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন মুকেশ কুমার। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন কুলদীপ যাদব ও রভম্যান পাওয়েল। এদিন দিল্লির প্রায় সব বোলারই ছিলেন খরুচে। কেউই পার্থক্য গড়ে দিতে পারেননি।

এইচজেএস