শেষ মুহূর্তে এসে আইপিএল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে ঠিক কি কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন সেটা নিয়েও চলছিল গুঞ্জন। তবে শেষমেশ সাকিব নিজেই জানিয়েছেন পারিবারিক কারণে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। এদিকে বিসিবি সভাপতি বলছেন আইপিএলে গিয়ে বসে না থেকে দেশের হয়ে খেলাই তো ভালো।

আজ (শুক্রবার) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন নাজমুল হাসান পাপন। সেখানে সাকিবের আইপিএল ইস্যু নিয়ে বলেন, ‘টেস্টের অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক দুজনকেই ছেড়ে দেবেন? এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এরপর আমি একটা কথা বলেছিলাম আপনাদের- এর আগে জিজ্ঞেস করেছিলেন, খেলাবে তো? না খেলে ওখানে গিয়ে বসে থাকার চেয়ে কি দেশের জন্য খেলাটা ভালো না?’

পাপন যোগ করেন, ‘আমাদের সঙ্গে এটা নিয়ে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। লিটন-সাকিবকে তো ছাড়া আছেই, ছাড়লাম না কখন। প্রায়ই এই কথা শুনছি আজ থেকে তিন মাস আগে, আইপিএল শুরু হওয়ার তিন মাস আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। জিনিসটাতে কনফিউশনের কোনো সুযোগ নেই। ’ 

পাপন বলেন, আইপিএল কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো ছিল কে কখন খেলতে পারবে, ‘আমাদের কাছে চেয়েছে কতগুলো খেলোয়াড়ের নাম দিয়ে। এখানে যে কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়েছে এর বাইরেও ছিল কিন্তু এবং বলেছে ওরা কখন কখন এভেইলেবল। আমরা ওদের নির্দিষ্ট করে প্রত্যেকের পাশে ডেট দিয়ে বলে দিয়েছি কে কখন এভেইলেবল। এতে করে উদাহরণস্বরূপ সাকিব-লিটন এরা দুজন এখানে দুইটা ম্যাচ ওখানে তিনটা ম্যাচ; পাঁচটা ম্যাচ মিস করবে। এটা জেনেই তাদেরকে নিয়েছে। পাঁচটা ম্যাচের জন্য তাদেরকে নেয় নাই। পাঁচটাসহ নিলে ওদের দাম তো আরও বাড়তেও পারতো। এখনও তাই আছে আমাদের। ’

এমনকি আইপিএলের পক্ষ থেকেও সময় বাড়ানোর কোনো আবেদন করা হয়নি জানিয়ে পাপন বলেন, ‘এমন কোনো ব্যাপার হয়নি কখনো আইপিএলে যেটা বলেছি সেটা করিনি বা খেলোয়াড়দের যেটা বলেছি করিনি। আইপিএলও কখনো আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি সময়টা কি বদলানো যায় কি না। আলাপই তো হয়নি। কোথাও কোনো ফাঁক নেই।’

এসএইচ/এফআই