বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার বলা হয় সাকিব আল হাসানকে। তবে মাঠের বাইরে সাকিবকে নিয়ে আলোচনাটা আরও বেশি। বিভিন্ন সময় ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে সংবাদের শিরোনামে আসেন তারকা এই ক্রিকেটার। বিজ্ঞাপনে অনেক সময় ব্যয় করাও সেই আলোচনার একটি। তবে ভক্ত-সমর্থকরা যেই সাকিবকে বাইশগজে কিংবা বিজ্ঞাপনচিত্রে দেখে প্রতিনয়ত মুগ্ধ হন, সেই সাকিবের পেছনে অনেক অবদান রয়েছে তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের। বিশ্বসেরা তারকার কঠিন সময়েও পাশে থেকে মানসিক শক্তি জুগিয়ে গেছেন। 

সাকিব যেমন অলরাউন্ডার, কম যান না স্ত্রী শিশিরও। প্রায়সময়ই মডেলিংয়ে দেখা মেলে তার। সম্প্রতি ইয়ামাহা বাইকের মডেলিংয়েও সাকিবের সঙ্গে জুটি বেধেছেন। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও সাকিব-শিশির একসঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। 

২০১০ সালে ইংল্যান্ডের উস্টারশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। সেখানেই তার সঙ্গে শিশিরের পরিচয় হয়। প্রথম সাক্ষাতে দুজনেরই একে অপরকে ভালো লাগে। ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন সাকিব এবং শিশির। তারপর এই বন্ধুত্ব প্রণয়ে রূপ নেয়। প্রেমের সম্পর্ক গভীর হয় একসময়। সবকিছু জেনে যায় দুই পরিবার। অবশেষে এসে যায় ১২.১২.১২ দিনটি। সাকিব ও শিশিরের পরিবারের সম্মতির মধ্যে দিয়ে রাজধানীর রুপসী বাংলা হোটেলে বিয়ে হয় তাদের। দুই কন্যা এবং এক ছেলে আছে সাকিব এবং শিশিরের সংসারে।

শিশিরের পৈতৃক নিবাস ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ জেলায়। শিশিরের পরিবার বলতে বাবা-মা, চার ভাই ও দুই বোন। তিনি পড়াশোনা করেন মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। এরপর বাংলাদেশে ফিরে মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। পাশাপাশি টিভি শো, বিজ্ঞাপনেও কাজ করতে থাকেন চুটিয়ে।

এফআই