আবারও অজিদের ওয়ানডের নেতৃত্বে স্মিথ
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হারের পর ওয়ানডে জয়ের লক্ষ্যে দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। এতে পাঁচ বছর পর আবারও অধিনায়ক করা হয়েছে স্টিভ স্মিথকে। এর আগে তৃতীয় টেস্ট চলাকালে অজিদের টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের মা মারা যান। ফলে তিনি আর ভারতে ফিরতে পারেননি। তার অনুপস্থিতিতে সাদা পোশাকে শেষ দুই ম্যাচের পর এবার ওডিআইয়ের নেতৃত্বভারও স্মিথের কাঁধেই উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সফরকারীদের ১৫ সদস্যের ওয়ানডে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এতে কামিন্সের জায়গায় প্রথমে ঝাই রিচার্ডসনকে নেওয়া হলেও তিনি পুরোপুরি চোটমুক্ত হননি। তাই তার পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে পেসার নাথান এলিসকে। একইসঙ্গে টেস্ট সিরিজ ছিটকে যাওয়া ডেভিড ওয়ার্নারের চোট সারায় তাকে দলে রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্যাট কামিন্সের মাতৃবিয়োগের এই কঠিন সময়ে তার সঙ্গে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, ‘কামিন্স ও তার পরিবার শোকস্তব্ধ। এই পরিস্থিতিতে আমরা তাদের পাশে রয়েছি।’
এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। তার অবসরের পর এই সংস্করণের দায়িত্ব পান কামিন্স। নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু হয় প্যাট কামিন্স অধ্যায়। তবে ৩ ম্যাচের সেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কামিন্সকে দেওয়া হয় বিশ্রাম, সেই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন জশ হ্যাজলউড। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তিনিও চোটে পড়েন। তাই স্মিথের দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে অজিদের সর্বশেষ পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচে মোট চারজনকে অধিনায়ক করা হয়েছে।
নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ার আগে ৫১টি একদিনের ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্মিথ। যার সর্বশেষটি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। এরপর বল টেম্পার কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিষেধাজ্ঞাসহ তিনি সব ফরম্যাটের নেতৃত্ব হারান। ভারতের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজ দিয়ে তিনি আবার নেতৃত্বে ফেরেন। তার অধীনেই ঘুরে দাঁড়ায় ক্যাঙ্গারুইয়ানরা। রোহিত শর্মার দলের বিপক্ষে এক ম্যাচে জয় ও আরেক টেস্টে ড্র করেছে সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দল : স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, মার্নাস লাবুশানে, মিচেল মার্শ, মার্কাস স্টয়নিস, অ্যালেক্স ক্যারি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরুন গ্রিন, জশ ইংলিস, সিন অ্যাবট, অ্যাস্টন আগার, মিচেল স্টার্ক, নাথান এলিস, অ্যাডাম জাম্পা।
এএইচএস