কোহলির সেঞ্চুরিখরা ঘুচল ৩৯ মাস পর
সাদা পোশাকে ২৮তম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ভারতীয় মাস্টার ব্যাটার বিরাট কোহলি। তবে তার এই সেঞ্চুরি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩ বছর ৩ মাস। সর্বশেষ ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোহলি শতকের দেখা পেয়েছিলেন। সে সময় ইডেন গার্ডেনে অনুষ্ঠিত দিবারাত্রির টেস্টে ১৩৬ রান করেছিলেন তিনি। শুধু সেঞ্চুরিই নয়, ক্রিকেটের দীর্ঘতম এই ফরম্যাটে ফিফটির দেখা পেতেও কোহলিকে ১৪ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে তার টেস্ট গড় সে কথা বলছে না। একমাত্র এই ফরম্যাটে ৫০-এর নিচে গড় হলেও, বর্তমানে কোহলির টেস্ট গড় ৪৮.১২।
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) March 12, 2023
আহমেদাবাদে সিরিজের শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনে কোহলির সঙ্গে বেশ ভালো সঙ্গ দিতে থাকেন শ্রীকর ভারত। দুজনই দেখেশুনে খেলতে থাকেন। কিন্তু ৩০-এর অঙ্ক পেরোনোর পর স্ট্রাইক বাড়াতে থাকেন ভারত। ওই সময় তিনি ক্যামেরুন গ্রিনের পরপর দুই বলে ছক্কা হাঁকান। এরপরই তার আগ্রাসী মনোভাবের নেতিবাচক ফল আসে। কোহলির রান যখন ৯৮, তখনই তিনি আউট হয়ে ফেরেন। যা কোহলির ওপরও কিছুটা চাপ তৈরি করে। নাথান লায়নের বলে আউট হওয়ার আগে ভারত করেন ৪৪ রান।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের বেলা পুরাবার আগে ব্যাট করতে নামে ভারত। তাদের সামনে ছিল প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৮০ রান। খাজা ও গ্রিনের জোড়া সেঞ্চুরিতে তারা রানের এই পাহাড় গড়ে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু এনে দেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। গিলের ১২৮ ইনিংসের পাশাপাশি রোহিত ৩৫, চেতেশ্বর পূজারা ৪২ রান করেন। তবে তারা ফিরে গেলে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার ভার কাঁধে নেন কোহলি। তবে কোহলির ২৭তম সেঞ্চুরির পর টেস্টে আরেকটি শতকের দেখা পেতে তাকে ৪১টি ইনিংস খেলতে হয়েছে।
তবে কোহলির সেঞ্চুরি মানেই তার সঙ্গে বয়ে চলে রেকর্ডের খাতা। এই কীর্তির ফলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫’এ। বর্তমানে খেলছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে টেস্টে সেঞ্চুরির সংখ্যায় কোহলি আছেন তিন নম্বরে। ৩০ সেঞ্চুরি নিয়ে অজি ব্যাটার স্টিভ স্মিথ শীর্ষে এবং তারচেয়ে একটি কম সেঞ্চুরিতে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট দুইয়ে আছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৬৯ রান। ফলে সফরকারী অজিদের চেয়ে তারা এখনও ১১ রানে পিছিয়ে আছে। তবে ম্যাচের ফল নিশ্চিত ড্র-য়ের দিকে আগাচ্ছে। কোহলি ১৩৩ রান এবং অক্ষর প্যাটেল অপরাজিত আছেন ৩৭ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টড মারফি ও লায়ন দুটি এবং ম্যাথিউ কুনেহান একটি উইকেট নিয়েছেন।
এএইচএস