চার ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে আহমেদাবাদে লড়ছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ চলাকালে দুপুরে সেখানকার তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এই গরমে ফিল্ডারদের জন্য পানি ও জুসের ব্যবস্থা করে থাকে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট বোর্ড। তবে বিরতিতেও পানি খাচ্ছেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তবে ক্রিকেটারদের সুস্থ রাখার পাশাপাশি শরীরে পানির জোগান দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতীয় দল।

চলমান টেস্ট স্বাগতিকদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ম্যাচের ওপর রোহিত শর্মাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা নির্ভর করছে। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে লঙ্কান ক্রিকেট দল। ইতোমধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করা অজিদের জন্য ম্যাচটি তেমন গুরুত্ববহ হওয়ার কথা নয়। তা সত্ত্বেও সিরিজ বাঁচাতে লড়ছে তারা। কেননা সিরিজের প্রথম দুটি টেস্টেই সফরকারীরা পাত্তা পায়নি। তৃতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ হার এড়িয়েছে স্টিভ স্মিথের দল। চতুর্থ টেস্ট জিতে অন্তত সিরিজ ড্র নিয়ে তারা দেশে ফিরতে চায়। যদিও ম্যাচের বর্তমান পরিস্থিতি ড্র-য়ের দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

এদিকে, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে ভারতীয়দের অন্তত ড্র প্রয়োজন। ৫ দিন ব্যাপী ম্যাচটি ভালোভাবে শেষ করতে ক্রিকেটারদের সুস্থ রাখাও তাই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচের বিরতিতে শক্তিবর্ধক পানি ছাড়াও তাদের দেওয়া হচ্ছে তরমুজ। শরীরে পানি ও পর্যাপ্ত শক্তি যোগাতে এই ফলের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

ভারতীয় দলের একজন জানিয়েছেন, ‘শুষ্ক গরমে শরীরে পানির পরিমাণ বজায় রাখতে তাজা ফল খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুপুরের পর তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। এই পরিস্থিতিতে শরীরের ‘পিএইচ’-এর মাত্রা বজায় রাখা জরুরি। এরূপ গরমে রসালো ফল শরীরে পানির পরিমাণ যেমন বজায় রাখতে সাহায্য করে, তেমনি শক্তিও বৃদ্ধি করে।’

তবে ম্যাচ চলাকালে খেলোয়াড়দের ফল খাওয়া নতুন কিছু নয়। পেস বোলাররা অনেক সময় খেলার মাঝে কলা খেয়ে থাকেন। বল করার জন্য প্রচুর শক্তি ব্যয় করতে হয় বলে তারা এসব ফল খান। আর বিশেষত টেস্ট ম্যাচে তাদের টানা বল করতে হয়। ঘামও হয় প্রচুর। তাই তারা খেলা চলাকালীন কলা বা এনার্জি বার খেয়ে থাকেন। মৌসুম ও আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রেখেই সংশ্লিষ্ট দল ক্রিকেটারদের জন্য এসব ফল বাছাই করেন।

এএইচএস