বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৬ সালে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দেশের অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর আর টাইগারদের হয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটটিতে দেখা যায়নি নাফীসকে। 

বাংলাদেশ দল প্রায় ১৭ বছর ধরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেললেও আজ (৯ মার্চ) প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড দলকে টি-টোয়েন্টিতে হারানোর গৌরব অর্জন করেছে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে জস বাটলারের দলকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। 

২০২১ সালে লাল-সবুজের জার্সি খুলে রাখলেও নাফীস এখনো ক্রিকেটের সঙ্গেই আছেন। কাজ করছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার হিসেবে। ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো হারানোর পর ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীস। এমন জয়কে বিশেষ অ্যাখা দিয়ে নাফীস বলেন, ‘আসলে এটা একটা দারুণ জয়। বাংলাদেশের জন্য এটা একটা উল্লেখযোগ্য জয় বলা যায়। আশা করি বাংলাদেশ দল এই জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারবে।’

টি-টোয়েন্টির মেজাজেই ব্যাট চালিয়েছেন রনি তালুকদার ও তৌহিদ হৃদয়

১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের হয়ে তিনে ব্যাট করা নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেছেন নান্দনিক এক ইনিংস। যদিও শান্তকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। শান্ত’র ৫১ রানের ইনিংস নিয়ে নাফীস বলছিলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ শান্ত দারুণ খেলেছে। মানুষের অনেক সমালোচনা সহ্য করেও বেশ কিছুদিন ধরেই সে ভালো খেলছে। সে দারুণ একজন ক্রিকেটার। আশা করি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ওয়ান অব দ্য বেস্ট খেলোয়াড় হবে সে ইনশা-আল্লাহ।’

এদিন বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় তৌহিদ হৃদয়ের। তিনি ব্যাট হাতে করেছেন ২৪ রান। এছাড়া ৭ বছর ২৪১ দিন পর জাতীয় দলে ফিরেছেন রনি তালুকদার। ম্যাচে দারুণ শুরু এনে দেওয়া রনি ২১ রান করেন। সে প্রসঙ্গে নাফীস বলেন, ‘রনি-তৌহিদ দুজনেই দলের জন্য ভালো কনট্রিবিউট করেছে। সে কারণেই আমার কাছে ম্যাচ শেষে মনে হচ্ছে এটা একটি দলীয় জয়। কেননা এতে সবাই পারফর্ম করেছে। রনির কথাই যদি ধরেন এই বিপিএলে সে কিন্তু অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। এতদিন পর দলে এসে আজকেও ভালো খেলছে। আশা করি সে ব্যাটিংয়ের এই এই ধারা ধরে রাখবে।’

এসএইচ/এএইচএস