বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ খেলতে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে ভারতে পা রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সিরিজ শুরুর পর দলটি জর্জরিত হতে থাকে একের পর এক ইনজুরিতে। তবে চোটে না পড়লেও, পারিবারিক কারণে সিরিজ রেখে দেশে ফিরেছেন কামিন্স। তার অনুপস্থিতিতে দলের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে স্টিভ স্মিথের হাতে। আর তার অধীনেই সিরিজে প্রথমবার জয় দেখল অজিরা। অথচ এর আগে টানা দুই ম্যাচে তারা হারের বৃত্তে আটকে ছিল। 

সাময়িক অধিনায়ক হয়েও তাই বাহবা পাচ্ছেন স্মিথ। তার প্রশংসা করছেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে সতীর্থরাও। তারা বলছেন, স্মিথ আসতেই বদলে গেল দৃশ্যপট। সে বিষয়ে তিনি নিজেও এবার কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, ভারতের মাটিতে অধিনায়কত্ব উপভোগ করেন তিনি।

তৃতীয় টেস্টে ভারতকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। স্পিন-সহায়ক উইকেটে ব্যাটারদের প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়েছে। যার ফলে ম্যাচটি শেষ হয়ে যায় মাত্র আড়াই দিনে। সিরিজে অজিরা ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লেও তারা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জায়গা করে নিয়েছে। তবে ভারতের ফাইনাল খেলা এখনো নিশ্চিত নয়। আহমেদাবাদে তারা শেষ টেস্টে জয় পেতে হবে।

এর আগেও সফরকারী অজিদের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন স্মিথ। কিন্তু বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ওয়ার্নারসহ নিষেধাজ্ঞায় পড়েন স্মিথ। এরপর হারিয়ে ফেলেন দলের নেতৃত্বও। কামিন্সের অনুপস্থিতি তাকে আবারও সেই মর্যাদায় এনে দিয়েছে। সে প্রসঙ্গে স্মিথ বলছেন, ‘ভারত এমন একটা দেশ, যেখানে নেতৃত্ব দেওয়াটা আমি উপভোগ করি। এখানে দাবার মতো ম্যাচে উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রত্যেক বলেই মনে হয় কিছু একটা ঘটবে। এখানে ফিল্ডিং পরিবর্তন করে ব্যাটারের মানসিকতার সঙ্গে খেলা যায়। কোন ব্যাটসম্যান কী রকম ফিল্ডিং সাজালে কী শট নিতে পারেন, তা দেখা যায় সহজেই। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের চেয়ে ভারতেই নেতৃত্ব দিতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই।’

তবে আগামী ম্যাচেই ফিরছেন দলের নিয়মিত অধিনায়ক কামিন্স। সেই বিষয়ে স্মিথ বলেন, ‘ওর (কামিন্স) অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ছিল আমার দায়িত্ব। এবার সেটা কামিন্সের দল। সে-ই দলের অধিনায়ক। চতুর্থ টেস্টে আশা করি সে চলে আসবে। দিল্লিতে জেতার অনেক বড় সুযোগ ছিল আমাদের সামনে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। নিজেদের দোষে হেরেছি। দিল্লির পরে যে বিশ্রাম পেয়েছি, তা কিন্তু কাজে দিয়েছে। সুফল পেলাম ইন্দোরে।’

প্রথম দুই টেস্টে লড়াই করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্টে কিছুটা ব্যাটে আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত সেটি স্থায়ী হয়নি। এক ইনিংসে নবাগত বোলার টড মারফির পাঁচ উইকেট শিকারে রোমাঞ্চ তৈরি হয়। পরবর্তী ম্যাচে সেই দায়িত্ব নেন নাথান লায়ন। তার এক ইনিংসেই ৮ উইকেট শিকারে ধসে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন-আপ। এরপর ছোট টার্গেট তাড়া করে বড় জয় পায় সফরকারীরা। যদিও সেই পিচ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এসেছে আইসিসির কাছ থেকে। ইন্দোরকে ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট এবং ‘পুওর’ রেটিং পয়েন্ট দিয়েছে তারা।

এএইচএস