বারবারই এমন উদযাপনের উপলক্ষ্য পেয়েছে সফরকারীরা।

ব্যাটিং ব্যর্থতায় শঙ্কা জেগেছিল দলীয় রান দুইশ ছোঁয়া নিয়ে। শেষ পর্যন্ত তা ছোঁয়া গেলেও সাদামাটা একটা টার্গেটই দাঁড় করাতে পেরেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর অর্ধ-শতকের পরও এদিন বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি টাইগাররা। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই সবকটি উইকেট হারিয়ে টাইগাররা সংগ্রহ করেছে ২০৯ রান।

বুধবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১ম ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছিল টাইগারদের। প্রথম কয়েক ওভারে কোনো উইকেটের পতন হয়নি। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর লিটন দাসকে বেশ সাবলীল মনে হচ্ছিল।

তবে যেমনটা মনে হয়েছিল তেমন ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় রানের চাকা শ্লথ হয়ে যায়।

দলীয় ৩৩ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে টাইগারদের। ব্যক্তিগত ১৫ বলে ৭ রান করে বিদায় নেন ওপেনার লিটন দাস। ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকসের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।

এরপর জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন তামিম-শান্ত। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি। দলীয় ৫১ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে টাইগারদের। ব্যক্তিগত ২৩ রান করে ফিরে যান তামিম ইকবাল। মার্ক উডের লাফিয়ে ওঠা বল হাতের কনুইয়ে লেগে আঘাত হানে তামিমের স্ট্যাম্পে।

তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডেতে নিজের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আজ। এক পাশে তার সাবলীল ব্যাটিং বড় রানের আশা দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু ৫৮ রান করে বিদায় নেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। 

এদিকে ক্রিজে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ফিরে যাওয়ার আগে এই অভিজ্ঞ ব্যাটার করেছেন মোটে ১৭ রান।

ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনের দিনে রান পাননি সাকিব আল হাসানও, করেছেন ৮ রান। মাঝের সময়ে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চেষ্টা চালালেও পারেননি ইনিংস বড় করতে। ফিরে যান ৩১ রান করে। 

সাকিব, মুশফিকদের পথে হাঁটলেন আফিফ-মিরাজরাও। ৭ রান করে আফিফ ফেরার পর ভারত জয়ের নায়ক মিরাজ করেছেন মোটে ৯ রান।

শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের ১৪ আর তাইজুলের ১০ রানে ভর করে ২শ পার করে বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আদিল রশিদ, মার্ক উড ও জোফরা আর্চার।

এসএইচ/এফআই