ক্রিকেটে দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং বলতে যা বুঝায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বিরাট কোহলি ও বাবর আজম। তর্কসাপেক্ষে দুজনকে নিয়ে অনেকেই বাজি ধরেন। কারও চোখে ভারতীয় ব্যাটার আবার কেউ বলছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক এগিয়ে। তবে রেকর্ড গড়া এবং ক্রিকেটে আগমনের দিক থেকে কোহলিই সিনিয়র। সেই পথে ধারাবাহিকভাবে এগোচ্ছেন বাবরও। দুজনের নজরকাড়া সব শটে যেন সৌন্দর্য লুটোপুটি খায়। এবার এই দুজনের মধ্যে সেরা বেছে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ডেভিড মিলার।

বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দু’দেশের দুজন ব্যাটিংয়ে রাজত্ব করছেন। ভক্তরাও কে কার চেয়ে কতটা এগিয়ে তা নিয়ে মশগুল থাকতে দেখা যায়। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছেন মিলার। তার মতে, বাবরই কোহলির চেয়ে এগিয়ে!

ক্রিকইনফো মিলারকে প্রশ্ন করেছিল কভার ড্রাইভে কাকে এগিয়ে রাখবেন? জবাবে বাঁ-হাতি এই ব্যাটারের সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘আমি এই ক্ষেত্রে বাবরকেই এগিয়ে রাখতে চাই।’

এরপর মিলারের কাছে ইয়র্কার বোলিং নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। জসপ্রীত বুমরাহ এবং শাহিন শাহ আফ্রিদির মধ্যে কার ইয়র্কার খেলতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে? আফ্রিকান এই মারকুটে ব্যাটার বলছেন, ‘আমি এই ক্ষেত্রে বুমরাহর ইয়র্কারের কথাই বলব।’

৩৩ বছর বয়সী মিলারকে জিজ্ঞেস করা ব্যাটার ও বোলারদের সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন। গত বছর তার ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটানস আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন মিলার। ফলে বিরাটকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগও ছিল‌ মিলারের সামনে। একইসঙ্গে পিএসএলে খেলেও কাছ থেকে দেখেছেন বাবর আজমকে। একইসঙ্গে বুমরাহ এবং শাহিন আফ্রিদিকেও মোকাবিলা করেছেন অনেকবার। তবে তার মতে, ২২ গজে শাহিন আফ্রিদির তুলনায় জসপ্রীত বুমরাহর ইয়র্কার সামলাতেই তাকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

৩৪ বছর বয়সী কোহলি দীর্ঘদিন পর ফর্মে ফিরেছেন। রানখরা কাটিয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তিনি ভালো পারফরম্যান্স করলেও, দীর্ঘতম ফরম্যাটে তার বিরাট সুলভ ইনিংস দেখতে অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে। সম্প্রতি কোহলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫ হাজার রান করার নজির গড়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি ভেঙে দিয়েছেন কিংবদন্তী সচিন টেন্ডুলকারের নজিরও। অন্যদিকে, ২০২২ সালে বাবর আবার সব ফরম্যাটেই সর্বাধিক রান করার নজির গড়েছেন। ব্যাটিংয়ে একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছেন তিনি। সব ফরম্যাটে বাবর কোহলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছেন।

এএইচএস