জয়ের জন্য লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই ছিল ভারতের। পরপর উইকেট হারিয়ে ম্যাচটা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল কিছুটা। তবে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লো স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১১৩ রানে অলআউট হওয়ার পর টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে রোহিত শর্মারা। সেই সঙ্গে বর্ডার-গাভাস্কার চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। পাশাপাশি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়েও অনেকটা এগিয়ে গেল তারা। 

প্রথম টেস্ট ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় টেস্টে শুরুটা খারাপ হয়নি সফরকারীদের। প্রথম ইনিংসে অজি বাহিনী করেছিল ২৬৩ রান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়। প্রথম ইনিংসের মতো ভালো শুরুর পরও মাত্র ১১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। প্রথম ইনিংসে এক রানে পিছিয়ে থাকা ভারতের সামনে তাই লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ১১৫ রানের।          

সহজ টার্গেট। তবে যতটা সহজ জয় আশা করা হচ্ছিল, ততটা সহজে এলো না। ১১৫ রান তুলতে গিয়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেন রোহিতরা। অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে আউট হন রোহিত (৩১) , বিরাট কোহলি (২০), শ্রেয়াস আয়াররা (১২)। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ লোকেশ রাহুলও (২)। 

সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে শততম টেস্ট খেলতে নামা চেতেশ্বর পুজারা একপ্রান্ত আগলে রাখছিলেন ঠিকই। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৩১ রান করে। তাঁর ৭৪ বলের ইনিংসে রয়েছে চারটি বাউন্ডারির মার। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে বাইশগজে ছিলেন শ্রীকর ভরত। উইকেটরক্ষকের ব্যাট থেকে এলো ২২ বলে ২৩ রান। 

এর আগে শনিবার শেষ বেলায় ট্র্যাভিস হেড এবং মার্নাস লাবুশেন আগ্রাসী ব্যাটিং করে ভারতীয় বোলারদের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। রোববার সকালেও একই রকম মানসিকতা নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন অজি ব্যাটাররা। তবে অশ্বিন-জাদেজাদের তোপের মুখে টিকতে পারলেন না তারা। শুরুটা করেছিলেন অশ্বিন। আর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ করে দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। অশ্বিনের ৩ উইকেটের পাশাপাশি বাকি সাতটি জাদেজার দখলে।  

দিল্লিতে টেস্টে ক্রিকেটে নিজের সেরা বোলিং করলেন জাদেজা। ৪২ রান খরচ করে নিয়েছেন ৭ উইকেট। এর আগে তাঁর সেরা বোলিং ছিল ৪৮ রানে ৭ উইকেট।

বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে পরপর দুই টেস্টে পাঁচ উইকেট নিলেন জাদেজা। টেস্টে এ নিয়ে ১২ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন। প্যাট কামিন্সদের কাছে ক্রমশ ‘উদ্বেগ’ হয়ে উঠছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।

এফআই