বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে একরকম নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিল ভারতীয় স্পিনাররা। তবে নামটা যখন অস্ট্রেলিয়া, সহজেই দমে যাওয়ার মতো দল তারা নয়। দ্বিতীয় টেস্টেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে অজিরা। দিল্লী টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা এগিয়ে থেকেই শেষ করল প্যাট কামিন্সের দল।  

দিল্লী টেস্টের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়াকে ২৬৩ রানে অলআউট করেছিল ভারত। উইকেটবিহীনভাবে দিনের শেষটাও ভালোভাবেই করেছিল রোহিত শর্মার দল। কিন্তু তৃতীয় দিনের শুরুতেই নাথান লিওনের ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন ভারতীয় ব্যাটাররা। শুরুটা হয়ে কে এল রাহুলকে দিয়ে। দলীয় ৪৬ রানে লিওনের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। 

পার্টনারের বিদায়ের ৭ রানের মাথায়ই বোল্ড হন রোহিত শর্মা। তবে এখানেই লিওনের জাদু শেষ নয়। ভারতের স্পেশালিস্ট টেস্ট ব্যাটার চেতেশ্বর পূজারাকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান ডানহাতি এ স্পিনার। শ্রেয়াসেরও রক্ষা হয়নি জাদুকরের হাত থেকে। ৪ রানে হ্যান্ডসকম্বের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৬৬ রানেই ভারতের প্রথম চার উইকেট নিয়ে নেন লিওন। 

মধ্যাহ্ণভোজের পর থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারত। বিরাট কোহলি-রবীন্দ্র জাদেজা মিলে গড়েন ৫৯ রানের জুটি। বল পুরনো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে হচ্ছিল, ভালোভাবেই মানিয়ে গেছেন এই দুই ব্যাটার। আর তখনই টড মারফির আঘাত। জাদেজাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন এই স্পিনার। 

৪৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। ৪ রানের ব্যবধানে শ্রীকর ভারাতকে সাজঘরে পাঠান লিওন। তাতে পূর্ণ হয় ডানহাতি এ স্পিনারের পাঁচ উইকেট। ১৪৯ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত।  

বড় রানের লিড নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে যখন অস্ট্রেলিয়া, তখনই চমক নিয়ে হাজির হন অক্ষর প্যাটেল ও রবীচন্দ্রন অশ্বিন। অজি বোলারদের ঘাম ঝরিয়ে অষ্টম উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ১১৪ রানের জুটি। ১১৫ বলে ৭৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ফেরেন অক্ষর। অশ্বিন করেন ৩৭ রান। তাতে সবগুলো উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ১ রান কম ২৬২ রানে থামে ভারত। 

দিনের শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত ব্যাট করেছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। ১২ ওভার খেলে ৬১ রান করার পাশাপাশি কোনো উইকেট হারায়নি প্যাট কামিন্সের দল। ৪০ বলে ৩৯ রান করে দিনশেষে অপরাজিত আছেন ট্রাভিস হেড। তৃতীয় দিনের শুরুতে তাকে সঙ্গ দেবেন ১৬ রানে অপরাজিত থাকা মার্নাস লাবুশেন। 

এনইআর