ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল। মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ১৯ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা।  

বিপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজার ছোঁয়ায় এ যেন বদলে যাওয়া এক সিলেট। আগের আসরগুলোতে যেখানে তলানিতে ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি, এবার মাশরাফি নামক এক জাদুকরের স্পর্শে বাইশগজে দ্যুতি ছড়াচ্ছে তারা। আসরের শুরু থেকে দারুণ দাপট দেখিয়েছে সিলেট। এবার প্রথমবারের মতো নিশ্চিত হলো ফাইনালও।

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শিরোপার লড়াইয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে লড়বে মাশরাফি বাহিনী। 

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আজ টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে সিলেট। শুরুতে শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় ভালো শুরু এনে দেন দলকে। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬৫ রান। হাসান মাহমুদের শিকারে পরিণত হয়ে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে বিদায় নেন হৃদয়।

তিনে নামা ক্যাপ্টেন মাশরাফি মুর্তজা এদিন শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাট চালানোর চেষ্টা করেন। শান্তর সাথে তার ভালো একটা ‍জুটি গড়ে ওঠে। ৪০ রান করে শান্ত আউট হয়ে যান। মাশরাফি করেন ২৮ রান।

এরপর ক্রিজে নামা জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম ও রায়ান বার্লরা রান পাননি।

১৪২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জর্জ লিন্ডেকে নিয়ে লড়াই করেন থিসারা পেরেরা। শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ৩৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। দুজনই করেন ২১ রান করে। দলের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮২।

১৮৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে সমান তালে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছিল রংপুর। তবে শেষ দিকে এসে খেই হারায় তারা।

শেষ ১৮ বলে ৩৩ রানের লক্ষ্য ছিল রংপুরের। ক্রিজে ছিলেন দুই থিতু হয়ে যাওয়া ব্যাটার রনি তালুকদার ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। জয়ের পাল্লা ভারী ছিল রংপুরের দিকেই।

তবে প্রতিপক্ষের নাটাই যখন মাশরাফির হাতে, কিছু ঝলকের অপেক্ষায় ছিলেন সিলেট সমর্থকরা। 

১৮তম ওভারে মাশরাফি বল তুলে দিলেন তরুণ তানজিম সাকিবকে। আস্থার প্রতিদান দিতে ভুললেন না তিনি। একই ওভারে রনি ও সোহানকে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচটা বের করে আনেন এ তরুণ তুর্কি।

এরপর ক্রিজে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন ডোয়াইন ব্রাভো ও শেখ মেহেদীরা। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ ১৮ বলে রংপুর তুলতে পেরেছে কেবল ১৩ রান! মাশরাফির বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব ও বোলারদের কল্যাণে ১৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট। 

এফআই