বিশ্বকাপে সামর্থ্য দেখানোর বড় সুযোগ দেখছেন জ্যোতি
১০ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। আর এবারের আসর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে। সে উপলক্ষ্যেই বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া ১০ দলের অধিনায়কদের নিয়ে শনিবার কেপটাউনে আয়োজিত হয়েছিল ক্যাপ্টেনস ডে।
সেই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও ছিলেন উপস্থিত। জানিয়েছেন অতীতের সব ব্যর্থতা ভুলে ভালো কিছু করাই থাকবে তাদের প্রধান লক্ষ্য। কেননা ২০১৪ সালে দুই জয়ের পর পরবর্তীতে ২০১৬, ২০১৮ ও ২০২০ বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি বাংলাদেশ দল।
বিজ্ঞাপন
অধিনায়ক জ্যোতি বলছেন, 'এখানে এসে আমরা খুব আনন্দিত, বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার। আমরা অনেকেই অনেক বছর ধরে খেলছি, তবে এটা আমাদের মাত্র পঞ্চম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালের পর আমরা কখনো জিততে পারিনি, কিন্তু এবার নিজেদের সেরাটা দিয়েই লড়ব।'
বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর একটা বড় সুযোগ বলেও মনে করেন জ্যোতি। জানান, 'আমাদের দলের বড় শক্তি অনুপ্রেরণা। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলগুলোর বিপক্ষে আমাদের খেলার সুযোগ খুব একটা হয় না। ফলে আমরা সেভাবে প্রস্তুতিও নিতে পারি নাই। এ ধরনের টুর্নামেন্টে আমরা সেই সুযোগ পাই। এটা আমাদের জন্য সুযোগ নিজেদের সামর্থ্য আর প্রতিভা দেখানোর। আমরা কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ড সফর করেছি। যদিও সেখানে জিততে পারেনি, তবে অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের দলটা গত দুই মাসে অনেক পরিশ্রম করেছে। আমরা এখন বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর অপেক্ষায় আছি।'
এছাড়া বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের উন্নতির কথা জানিয়ে জ্যোতি বলেন, '২০১৮ সালে আমরা এশিয়া কাপ জেতার পর একটা বিশাল পরিবর্তন এসেছে আমাদের নারী ক্রিকেটে। বাংলাদেশের মানুষ নারী ক্রিকেট নিয়ে আরও বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমরা অনেক নারী ক্রিকেটার পাচ্ছি, অনেক মেয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছে। আমরা অনেক ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছি। ২০১৮ সালের পর আমাদের নারী ক্রিকেটের অবকাঠামোতেও অনেক পরিবর্তন হয়েছে।'
বাংলাদেশের মানুষের কাছে অনুরোধ ছেলেদের মতো করে তাদের দলকেও সমর্থন দেওয়ার। জ্যোতি বলেন, 'আমি বাংলাদেশের মানুষকে এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের অনুরোধ করব, যেভাবে ছেলেদের দলটাকে আপনারা সমর্থন করেন, আমাদেরও সেভাবে করুন। আমরা আমাদের দেশকে গর্বিত করতে চাই।'
এসএইচ/এফআই