গত বছরের মার্চে দেশের সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় চলছিল ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল)। করোনার কারণে এই টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যায়। এক বছরের বেশি সময় পর আবার আলোর মুখ দেখতে চলেছে ডিপিএল। শুরু হবে আগামী ৬ মে, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

টুর্নামেন্ট নিয়ে আলোচনায় মধ্যে উঠে এসেছে পারিশ্রমিক ইস্যু। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) বলছে, যেহেতু আগের জায়গা থেকেই শুরু হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট, সেহেতু দলগুলোর সঙ্গে যে পারিশ্রমিকে চুক্তি করেছিলেন ক্রিকেটাররা, সে পারিশ্রমিক থেকে তালিকা ভেদে কিছু টাকা কমে যেতে পারে। তবে সিসিডিএম থেকে এটাও জানানো হয়েছে, ক্রিকেটারদের কথা ভেবেই ডিপিএল ফেরাচ্ছে তারা।

রোববার মিরপুরে গণমাধ্যমকে সিসিডিএমের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, ‘এখানে কিছু রেকোমেন্ডেশন হয়েছে এবং কিছু আলাপ আলোচনা করা হয়েছে। এর আগে আমার কোয়াবের সাথেও আলাপ হয়েছিল। আমার অনেক প্লেয়ারদের সাথেও বসে আলাপ হয়েছে। প্লেয়ারদের দিকে তাকিয়েই কিন্তু আমরা এবার এই লিগটা করছি। কারণ প্লেয়ারদের সাথে আমার যখন কথা হয়েছে। তারা কিন্তু বলেছে যে করেই হোক আমরা মাঠে খেলতে চাই। আমাদের খেলতে হবে। আপনারা দরকাল হলে পারিশ্রমিকটা একটু কমিয়ে খেলার মধ্যে ফেরত নিয়ে আসেন।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সে আলাপটাও আমরা করেছি, প্লেয়ারদের কিছু মতামত রয়েছে সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এদিকে ক্লাবদেরও অনেক মতামত রয়েছে। কারণ এই মহামারির মধ্যে তারাও অনেক ডিফিকাল্টিজের মধ্য দিয়ে গেছে। অনেক স্পন্সর যারা আছে তারাও কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে। সবগুলো বিষয় দেখে আমরা বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করে বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা একটা এডজাসমেন্টে আসব। সেটা যে কোন এডজাস্টমেন্ট হবে, হলে কতটুকু এডজাস্টমেন্ট হবে সেটার এখনো কোন চূড়ান্ত হয়নি।’

ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্ট খেলেই সারাবছরের রুটিরুজির জোগান দেন অনেক ক্রিকেটাররা। করোনার কারণে এমনিতেই এক বছর আয় ছিল না। এবার পারিশ্রমিক কমলে বিপাকে পড়তে হবে প্রিমিয়ার লিগের উপর নির্ভর করে থাকা খেলোয়াড়দের। তাদের নিয়ে কি ভাবনা সিসিডিএমের?

কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, ‘খেলোয়াড়দের বিভিন্ন গ্রেড থাকে। কারও ৫ লাখ থাকে, কারও ৬ লাখ বা কারও ১০ বা ১৫ লাখ থাকে। আমাদের যে রেকোমেন্ড ছিল তা হলো, যেসব খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ৫ লাখের নিচে, তাদের ক্ষেত্রে কোন এডজাস্টমেন্ট হবে না। আমি এ ব্যাপারে এখনো ফাইনাল সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না। আমার এই ব্যাপারে আবারও ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসতে হবে, কোয়াবের সাথে আলোচনা শেষে বোর্ডের সঙ্গে আবারও বসতে হবে।’

টিআইএস/এমএইচ/এটি