ফিনিক্স পাখির মতো যেভাবে পুনর্জন্ম হয়েছে বাটলারদের
পৌরাণিক কাহিনী ফিনিক্স পাখির মতোই যেন নিজের ছাইয়ের স্তূপ থেকে পুনর্জন্ম হয়েছে তাদের। যেখানে শুরুতেই প্রত্যাশার বেলুন চুপসে গিয়েছিল, সেই তারাই কি-না উঠে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। আয়ারল্যান্ডের কাছে বৃষ্টি আইনে ৫ রানে হারের পর কে ভেবেছিল এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে ইংল্যান্ড?
অন্যরা কী ভেবেছেন সেই উত্তর জানা নেই। তবে জস বাটলার ছিলেন আশাবাদীর দলে। নিজের দলটার ওপর আকাশ ছোঁয়া আত্মবিশ্বাস ছিল ইংল্যান্ড অধিনায়কের। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) বড় মাঠে বড় ম্যাচের আগে যেন টগবগ করছেন বাটলার। রোববার ছুটির দিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচটা খেলার আগে জানিয়ে দিলেন-কিভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র পেয়েছিল তার দল।
বিজ্ঞাপন
এমসিজির ইয়ার পার্কে বসে শনিবার মুখে হাসিই থাকল বাটলারের। জানিয়ে দিলেন আইরিশদের কাছে হারের শিক্ষা নিয়েই এতোটা পথ এসেছেন তিনি, ‘দেখুন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য যারপরনাই হতাশার বিষয় হয়ে ছিল। আর এখন তো বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে এই জায়গায় বসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে, সেই ম্যাচ থেকে আমরা বেশ কিছু শিক্ষা পেয়েছি আমরা। এবং সেটিই আমাদের এগিয়ে নিয়েছে।’
ইংলিশ অধিনায়ক সঙ্গে আরও যোগ করলেন, ‘সত্যি বলতে সেই হার আমাদের বেশ ধাক্কা দিয়েছিল। আমি মনে করি, এখন পর্যন্ত যে ক্রিকেট আমরা খেলেছি, তাকে সেই ম্যাচের প্রতিক্রিয়ায় হিসেবে দেখতে পারি।’
সেই প্রতিক্রিয়াতে দল উঠে এসেছে ফাইনালে। রোববার মেলবোর্ন সময় সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময় ২টা) লড়াই বাবর আজমদের সঙ্গে। বিশ্বসেরার লড়াইয়ের আগে অবশ্য পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখতেও কার্পণ্য করলেন না বাটলার। শনিবার প্রিভিউ ডে-তে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলছিলেন, ‘অবশ্যই পাকিস্তান দুর্দান্ত একটি দল। আমি মনে করি, তাদের দুর্দান্ত সব ফাস্ট বোলার তৈরির ইতিহাস রয়েছে। আমরা যে দলের বিপক্ষে খেলব, তাদেরও আলাদাভাবে দেখছি না। আমি নিশ্চিত, যাদের সঙ্গে আমরা খেলতে যাচ্ছি, তাদের কাউকে কাউকে ক্যারিয়ারের শেষ দিকে পাকিস্তানের সেরা বোলার হিসেবে স্মরণ করা হবে। দলটি যে ফাইনালে, এর বড় একটি কারণ তারাই!’
মানে মেলবোর্নের মাঠে পাকিস্তানি পেসারদের এগিয়ে রাখছেন বাটলার। কারণটাও সংগত-দলটির পেসাররা অস্ট্রেলীয় কন্ডিশনে অপ্রতিরোধ্য। প্রায় প্রতি ম্যাচে শাহীন শাহ আফ্রিদিরা বল হাতে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষকে কাবু করে ফেলছেন।
অবশ্য সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে রাজি ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন। শিরোপাতেই চোখ তার, ‘আমি কঠিন চ্যালেঞ্জের প্রত্যাশা করছি, যেমনটা আমি আগেও বলেছিলাম। তারা এমন একটি দল, যাদের বিপক্ষে সম্প্রতি আমরা অনেক খেলেছি। দারুণ কিছু ম্যাচে আমাদের মধ্যে হয়েছে। দারুণ উদ্দীপনায় আমরা খেলেছিলাম। আমি নিশ্চিত, আগামীকালও (রোববার) তার ব্যতিক্রম হবে না।’
এর অর্থ-উপভোগ্য একটা লড়াইয়ের মঞ্চ তৈরি। তবে বৃষ্টি না জানি আবার সর্বনাশ করে দিতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অবশ্য এখানে কোন সুখবর দিচ্ছে না। শনিবার দিনটাতেও সূর্যের দেখা মিলেছে কমই!
এটি/এনইউ