জিম্বাবুয়ের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়েই দিল নেদারল্যান্ডস
জিম্বাবুয়েকে কোনো আইসিসি ইভেন্টের শেষ চারের দৌড়ে খুব একটা দেখা যায় না। এবার পাকিস্তানকে হারানোর পর থেকে সেটাই অলীক স্বপ্নটাই বাস্তবস্বপ্ন হয়ে উঠেছিল দলটির সামনে। সেমিফাইনাল স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে শেষ দুই ম্যাচে জিততেই হতো জিম্বাবুয়ের। তবে আজ নেদারল্যান্ডসের কাছে ৫ উইকেটে হেরে সে স্বপ্নটা ‘প্রায়’ শেষই হয়ে গেছে সিকান্দার রাজাদের।
অ্যাডিলেড ওভালে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতেছিলেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। নিয়েছিলেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। ওদিকে ডাচ অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস জানিয়েছিলেন, টস জিতলে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তটাই নিতেন তিনি। কেন নিতেন, বোলিংয়ে নেমে সেটারই প্রমাণ দিয়েছেন ডাচ বোলাররা।
বিজ্ঞাপন
পাওয়ারপ্লেতে মোটেও সুবিধা করতে পারেননি জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার ওয়েসলি মাধেভেরে, ক্রেইগ আরভিন আর রেজিস চাকাভা ফিরে যান পাওয়ারপ্লেতেই। ২০ রানে তিন উইকেট খোয়ানো জিম্বাবুয়েকে কক্ষপথে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন শন উইলিয়ামস আর সিকান্দার রাজা।
দলীয় ৬৮ রানে সিকান্দার ফিরে যান। এরপর থেকে জিম্বাবুয়ের ইনিংসটা ছিল সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে একা লড়ে যাওয়ার গল্প। রাজা ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। তাতে ভর করেই শেষমেশ ১৯.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১১৭ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
জবাবে শুরুতে স্টেফান মাইবার্গকে হারালেও এরপর ম্যাক্স ওডাউড আর টম কুপারের ৭৩ রানের জুটিতে সহজ জয়ই দেখছিল নেদারল্যান্ডস। বিপত্তিটা বাঁধল কুপারের বিদায়ের পর। কলিন অ্যাকারম্যানও ফিরলেন এক রান করে। এরপর ওডাউডের সঙ্গে বাস ডি লিডার জুটিটা একটু একটু করে ডাচদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল সুপার টুয়েলভে তাদের প্রথম জয়ের দিকে।
তবে জয় থেকে ৯ রান দূরে ওডাউড ফেরেন। তবে ডি লিডা ছিলেন অপর প্রান্তে অবিচল। তাই ওডাউড কিংবা জয়ের দুই রান বাকি থাকতে স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের বিদায়ে পা হড়কায়নি ডাচরা। তুলে নেয় ৫ উইকেটের জয়।
এর ফলে সুপার টুয়েলভে জয়ের খাতা খুলল নেদারল্যান্ডস। আর এক ম্যাচ বাকি থাকতে তিন পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ের। শেষ চারে যেতে হলে এখন শেষ ম্যাচে দলটিকে হারাতেই হবে ভারতকে। গ্রুপ-২ এর অন্য ম্যাচেও রাখতে হবে চোখ। তবে আজ জিম্বাবুয়ে যেমন খেলেছে, তাতে সেসব সম্ভাবনাকে অসম্ভবই মনে হচ্ছে বেশ।
এনইউ