বিশ্বকাপের মাস নভেম্বর শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগ পর্যন্ত সময়টাকে এখন মনে হচ্ছে তীব্র সাসপেন্সে ভরা কোনো সিনেমা, কারো কারো জন্য অবশ্য জনরাটা বদলে ‘হররেও’ রূপ নিচ্ছে এখন। 

কারণ আছে বৈকি! এমন বিশ্বকাপ যে দেখা যায়নি আর কখনো! বিশ্বকাপের এক মাস আগেই প্রয়োজনীয় বিশ্রামটা পেয়ে যান খেলোয়াড়রা। যা এবার পাচ্ছেন না কেউই। বিশ্বকাপের এক সপ্তাহ আগেও খেলতে হবে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ, আর এমন ম্যাচ মানেই চোটে পড়ার সম্ভাবনা! সেটা ভাবাচ্ছে বিশ্বকাপের দলগুলোকেও, এই সময়ে ছোট্ট একটা চোটও যে বিশ্বকাপে বড় বিপদে ফেলে দিতে পারে দলগুলকে!

আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি যেমন পড়লেন। চোটে পড়ে আর্জেন্টিনাকে যে বড় এক দুঃসংবাদই দিতে যাচ্ছেন দলটির মিডফিল্ডার জিওভানি লো চেলসো! বিলবাওয়ের বিপক্ষে ভিয়ারিয়ালের সবশেষ ম্যাচে পেশির অস্বস্তি নিয়ে ২৪ মিনিটে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর পরীক্ষায় যা দেখা গেছে, তাতে বড় এক দুঃসংবাদ পাওয়ার প্রমাদই গুনছে আর্জেন্টিনা। 

প্রাধমিক পরীক্ষায় লো চেলসোর ডান হ্যামস্ট্রিংয়ে গ্রেড-১ চিড় ধরা পড়েছে। শঙ্কা আছে এই চোটের কারণে শল্যবিদের কাঁচির নিচেও যেতে হতে পারে তাকে, সেটা হলে যে বিশ্বকাপটাই শেষ হয়ে যাবে তার, সেটা বলাই বাহুল্য। আর যদি সেটা না-ও প্রয়োজন হয়, তাহলেও বিশ্বকাপে অন্তত একটা ম্যাচ মিস করবেনই তিনি। এখন এই চোটের কারণে তাকে অস্ত্রোপচার করাতে হয় কি না, এই বিষয়ে জানতেই করা হবে আরও একটা পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার ফলাফলের ওপরই নির্ভর করছে তার বিশ্বকাপে খেলা-না খেলা।

যদি অস্ত্রোপচার প্রয়োজনই পড়ে, তাহলে আর্জেন্টিনা পড়ে যাবে বড় বিপদেই। লো চেলসো যে দলের নিয়মিত মুখ, একাদশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও। তার বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে তার শূন্যতা পূরণ করাটাও বেশ কঠিন। বল পায়ে বেশ সাবলীল এই মিডফিল্ডার মাঠের একটু নিচ থেকে বল সামনে নিয়ে যেতে পছন্দ করেন, ছোট ছোট ‘পকেটস অফ স্পেসে’ ঢুকে পড়ে প্রতিপক্ষের মনোযোগ নষ্ট করতেও তার জুড়ি মেলা ভার। সঙ্গে তো লিওনেল মেসি, লাওতারো মার্টিনেজদের সঙ্গে বোঝাপড়াটা আছেই।

সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হলেও উইংয়েও তাকে দেখা গেছে অনেক বারই। ফলে আর্জেন্টিনার উইঙ্গার সংকটে তাকেও ধরা হচ্ছিল দলটির উইংয়ের একজন বিকল্প হিসেবে। সেই তিনি যদি বিশ্বকাপে অনুপস্থিতই থাকেন, তাহলে সেটা পূরণ করাটা কঠিনই হবে আলবিসেলেস্তেদের জন্য।

এনইউ