সালাউদ্দিনের ফোনেও মন গলছে না বিসিবির
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে ফোন দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। মূলত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামটি ব্যবহারের জন্য চেয়েছিলেন তিনি। তবে সালাউদ্দিনের ফোনে মন গলছে না বিসিবির। ব্যস্ত সূচির দোহাই দিয়ে মাঠ ছাড়তে চায় না বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ফুটবলে নিয়মিত লিগ চললেও মাঠ সমস্যা প্রকট। সেই সমস্যার সাময়িক সমাধানের লক্ষ্যে বাফুফে ফতুল্লার স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করতে চেয়েছিল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এই স্টেডিয়ামটি মূলত ক্রিকেটের জন্যই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যদিও শেষ কয়েক বছর ধরে স্টেডিয়ামটিতে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন হয় না।
বিজ্ঞাপন
এজন্য বাফুফে চেয়েছিল ফুটবলের প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগের কিছু ম্যাচ এই স্টেডিয়ামটিতে আয়োজন করতে। এতে মাঠ সংকট কমবে। তবে সালাউদ্দিনের ফোনে মন গলেনি বিসিবির। আন্তর্জাতিক ম্যাচ না হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য স্টেডিয়ামটি ছাড়তে চায় না টাইগার ক্রিকেট বোর্ড।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান মাহাবুব আনাম বলেন, ‘ফতুল্লা স্টেডিয়ামে আমাদের প্রায় ৯টি উইকেট রয়েছে। সবগুলো উইকেটেই খেলার উপযোগী। আমরা গত বছরও ফতুল্লাতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি। শীতের সময় বৃষ্টি না হলে মাঠে পানি জমে না, তখন সম্পূর্ণভাবে খেলার উপযোগী থাকে।’
মাহাবুব আনাম আরও যোগ করেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) বা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আপনারা জানেন প্রিমিয়ার ক্রিকেটের ক্ষেত্রে এ মাঠটি আমাদের ব্যবহার করতে হয়। কারণ আমাদের তিনটি মাঠ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে ফতুল্লা, মিরপুর আর বিকেএসপির মাঠ আমরা ব্যবহার করি।’
ফতুল্লা স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে ২০১৬ সালে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। শেষ ওয়ানডে হয়েছে ২০১৪ সালের মার্চে, টাইগারদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।
টিআইএস/এটি/এমএইচ